ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে ককটেলসদৃশ ছয়টি বস্তু উদ্ধারের পর পুরো ক্যাম্পাসে তল্লাশি চালিয়েছে প্রশাসন। আজ শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে তল্লাশি চালায় পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে অন্তত ২৫ জন এ তল্লাশি শুরু করেন। তাঁরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে তল্লাশি চালান।
বিকেল সাড়ে ৪টায় তল্লাশি শেষ হয়। তবে তল্লাশিতে নতুন করে কিছু পাওয়া যায়নি। এর আগে বিষয়টি নিয়ে সকাল ১১টায় উপাচার্যের বাসভবনে জরুরি সভায় বসে প্রাশাসন। সভা থেকে পুরো ক্যাম্পাসে তল্লাশির সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে ঘটনার কয়েক ঘণ্টা হয়ে গেলেও উদ্ধারকৃত বস্তুগুলো ককটেল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বস্তুগুলো ইবি থানায় পানির ভেতরে রেখে দেওয়া হয়েছে। কুষ্টিয়া থেকে বিশেষজ্ঞ দল এসে বস্তুগুলো পরীক্ষা করার কথা থাকলেও বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কেউ আসেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘তল্লাশি চালিয়ে ছয়টি ককটেলসদৃশ বস্তু পাওয়ার পর সেগুলো পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।
তারা সেগুলো পানিতে রেখেছে। আরো কোথাও কোনো কিছু আছে কি না খোঁজ নিতে পুরো ক্যাম্পাসে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শনিবার থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসবে তাদের নিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে আমরা কাজ করছি।’
সকালে জরুরি সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘জাতীয় কোনো ইস্যুতে এ এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে না। যতটুকু মনে হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে প্রশাসনকে চাপে ফেলতে একটি গোষ্ঠী স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছে। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিটিং করেছি। কারা এটি করেছে সেটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে পুরো ক্যাম্পাসে তল্লাশি চালিয়েছি। তবে নতুন করে কিছু পাওয়া যায়নি। যেগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো তালিকাভুক্ত করা হবে। দোষীদের শনাক্ত করতে কাজ করছি।’
খুলনা গেজেট/ টিএ