হাইভোল্টেজ ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। বিশেষ করে বলতে হবে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও তরুণ পেসার আর্শদিপ সিংয়ের কথা। উভয়েই মিলে পাকিস্তানের ৬ উইকেট তুলে নেন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন ইফতিখার আহমেদ ও শান মাসুদ। দুজনেই তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। শান মাসুদ শেষ পর্যন্ত ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচে জয় পেতে ভারতকে করতে হবে ১৬০ রান।
রোববার (২৩ অক্টোবর) মেলবোর্নে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়। ম্যাচটি সরাসরি দেখাচ্ছে টি-স্পোর্টস ও গাজী টিভি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। শুরুতেই পাকিস্তানকে ধাক্কা দেন তরুণ পেসার আর্শদ্বীপ সিং। তিনি অধিনায়ক বাবর আজমকে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখান। বাবরের বিদায়ের পর দ্রুতই ফেরত যান টি-টোয়েন্টির সেরা ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি করেন মাত্র ৪ রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন শান মাসুদ ও ইফতিখার আহমেদ। এ দুজনে গড়েন ৭৬ রানের জুটি। শান মাসুদ শান্ত থাকলেও ব্যাটে ঝড় তোলেন ইফতিখার। তিনি অক্ষর প্যাটেলকে টানা তিন ছয় মেরে ওই ওভারে নেন ২১ রান।
যদিও পরের ওভারে ইফতিখার ঝড় থামান বুমরাহর পরিবর্তে স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ শামি। বিদায়েরর আগে ইফতিখার ৩৪ বলে ৪ ছয় ও ২ চারে করেন ৫১ রান। এটি ছিল ইফতিখারের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশত। এরপরই পাক শিবিরে জোড়া আঘাত করেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। একই ওভারে তিনি তুলে নেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজকে। তখন দলীয় স্কোর ১১৫ রান।
অপরপ্রান্তে থাকা শান মাসুদ ৪০ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশত। শাহিন শাহ আফ্রিদি শেষ দিকে ৮ বলে ১৬ রানের একটি ক্যামিও ইনিংস উপহার দেন। শেষ পর্যন্ত মাসুদ ৪২ বলে ৫ চারের সাহায্যে ৫২ রানে এবং হারিস রউফ ৪ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
ভারতের হয়ে আর্শদিপ সিং ও হার্দিক পান্ডিয়া ৩টি করে, মোহাম্মদ শামি ও ভুবনেশ্বর কুমার একটি করে উইকেট লাভ করেন।
ভারতের একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, সুর্যকুমার যাদব, দিনেশ কার্তিক (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, মোহাম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার ও আর্শদিপ সিং।
পাকিস্তানের একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, আসিফ আলি, হায়দার আলি, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও শান মাসুদ।