ইফতারির সময় কেনা জুসের মধ্যে চেতনানাশক মিশিয়ে চালককে খাইয়ে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দিয়েছে প্রতারক চক্র। এ সময় চুন্নু মোল্লা নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। চুন্নু নড়াইলের নড়াগাতি থানার পাখিমারা মধ্যপাড়ার মৃত ওহাব মোল্লার ছেলে।
তবে চুন্নুর সহযোগী ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মৃত মান্নান গাজীর ছেলে বর্তমানে নড়াইলের নড়াগাতি থানার মাউলী গ্রামের শ্বশুর বাড়ির বাসিন্দা বাবু পালিয়ে গেছে। ইজিবাইকটি সে নিয়ে পালিয়ে গেলেও চাজ না থাকায় হজম করতে পারেননি। বাঘারপাড়ার আয়াপুর গ্রাম থেকে গাড়িটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
যশোর সদর উপজেলার তোলানুরপুর গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে রাহাত হোসেন (১৯) শুক্রবার কোতয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন, তিনি একটি ইজিবাইক ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ১২ মার্চ বিকেল তিনটার দিকে ওই দুই আসামি পালবাড়ির মোড় থেকে পাঁচশ’ টাকায় ভাড়া করেন। কথা হয় বিমানবন্দর সড়ক ও উপশহর পার্কে ঘুরবেন। তাকে বিকেলে উপশহর পার্কের মধ্যে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে ইফতারের সময় হলে পানিসহ ইফতার খান। এরপর তাকে একটি জুসের বোতল দিয়ে খেতে বলেন আসামিরা। তিনি পান করার সময় ঝিমঝিম মনে হয়। পরে বাবু আগে পার্কের বাইরে যান। ইজিবাইকটি চালিয়ে আসি বলে চাবি চান। চাবি দিয়ে দিলে তিনি ইজিবাইক নিয়ে যান। আর চুন্নুর সাথে তিনিও হেঁটে পার্কের বাইরে যান। সে সময় মনে হয়েছে তার ইজিবাইকটি চুরি করা হচ্ছে। তিনি সে সময় তাকে জড়িয়ে ধরে জোরে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চুন্নুকে আটক এবং তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ চুন্নুকে ব্যবহার করে মোবাইল ফোনে বাবুর সাথে কথা বলে। বাবু জানায় বাঘারপাড়ার আয়াপুর গ্রামে পৌঁছানোর পর গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে ইজিবাইকটি সেখানে রেখে সে পালিয়ে যায়। পুলিশ সেখান থেকে ইজিবাইকটি উদ্ধার করেছে।