খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগুন নিয়ন্ত্রণে, খুলনায় পাট গোডাউনসহ ১০ দোকানের কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা, দেহাংশ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যাত্রী সমেত বিমান যে সাগরে ভেঙে পড়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল আগেই। ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে এবার উপকূলে ভেসে এল যাত্রীদের দেহাংশ। এই অবস্থায় পাইলট, বিমানকর্মী-সহ যে ৬২ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি উড়েছিল, তাঁদের মধ্যে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই ধারণা উদ্ধারকারীদের।

জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র ইয়ুসরি ইউনুস সংবাদমাধ্যমে বলেন, রবিবার সকাল পর্যন্ত দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করা গিয়েছে। তার মধ্যে একটিতে যাত্রীদের দেহাংশ মিলেছে। অন্যটিতে তাঁদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের টুকরো।

ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং মৃতদেহ উদ্ধারে রবিবার দুপুর থেকেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে যায়। রাতে কিছু সময়ের জন্য তা বন্ধ রাখতে হয়। সকাল হতেই ফের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে। উদ্ধারকার্য চালাতে এই মুহূর্তে ১০টি জাহাজ নামিয়েছে জাকার্তা প্রশাসন। এ ছাড়াও নৌবাহিনীর ডুবুরিদেরও নামানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষের টুকরো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

শনিবার দুপুরে জাকার্তার সোকরানো-হাত্তা বিমানবন্দর থেকে পোনতিয়ানাকের উদ্দেশে রওনা দেয় শ্রীবিজয়া এয়ারলাইন্সের এসজে ১৮২ নম্বর বিমানটি। পাইলট, সহকারী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে তাতে ৬২ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ছিল ৬ শিশু। শিশুদের মধ্যে আবার একজন সদ্যোজাত। বিমানবন্দর থেকে উড়ানের ৪ মিনিটের মধ্যেই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের।

একটি ফ্লাইট ট্র্যাকার ওয়েবসাইট জানায়, উড়ানের পর সোজা ১০ হাজার ৯০০ ফুট উপরে উঠে যায় বিমানটি। কিন্তু মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট নেমে আসে। সেই অবস্থায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার কয়েক ঘণ্টা পরে জানা যায় জাভা সাগরে বিমানটি ভেঙে পড়েছে। সেখানকার থাউজ্যান্ড আইল্যান্ডস এলাকায় জলের মধ্যে থেকে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের টুকরো উদ্ধার হয়েছে বলে জানায় ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি। তার পরই জোর কদমে উদ্ধারকার্য শুরু হয়।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!