ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বন্যা ও ভূমিধসে কয়েক ডজন বাড়ি ঘর ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
বর্ষা মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। চলতি বছর দেশটিতে বর্ষা মৌসুমের শুরু হয়েছে জানুয়ারিতে। দেশটির কিছু অঞ্চলে বন উজাড়ের কারণে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। দীর্ঘ বর্ষণের ফলে ১৭ হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটির কিছু অংশে বন্যা দেখা দিয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার (বিএনপিবি) মুখপাত্র আব্দুল মুহারি বলেছেন, শুক্রবার দক্ষিণ সুলাওয়েসির লুউউ রিজেন্সি এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেছেন, ‘‘লুউউ রিজেন্সিতে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে মোট ১৪ বাসিন্দা মারা গেছেন।’’ দক্ষিণ সুলাওয়েসির অন্য এক এলাকায় অন্তত একজন নিহত ও আরও দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আব্দুল মুহারি।
বিএনপিবির তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় শতাধিক বাড়িঘর ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৪২টি বাড়িঘর ভেসে গেছে। এছাড়া চারটি রাস্তা ও একটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকা থেকে প্রায় ১১৫ জন বাসিন্দাকে মসজিদ অথবা আত্মীয়দের বাড়িতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে সুলাওয়েসির এক হাজার ৩০০টিরও বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ তাদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
সাম্প্রতিক বর্ষা মৌসুমে চরম বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে ইন্দোনেশিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় বৈরী আবহাওয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত মার্চে দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়। গত কয়েক সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার কয়েকটি শহরে প্রচণ্ড গরমের খবর পাওয়া গেছে। তবে দেশটির আবহাওয়া ব্যুরো (বিএমকেজি) বলেছে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশকে গ্রাস করছে। আর এই তাপমাত্রা চলমান তাপপ্রবাহের অংশ নয়।
সূত্র: আলজাজিরা।
খুলনা গেজেট/এএজে