করোনাভাইরাস মহামারীতে চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে কোনো ইন্টারভিউ ছাড়াই ৪ হাজার চিকিৎসক ও ৪ হাজার নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সচিবালয়ে সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘নতুন চার হাজার ডাক্তার নিচ্ছি। নার্সও চার হাজার নেয়া হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নেয়া হচ্ছে।‘
গত দেড় বছর ধরে চিকিৎসক নার্সরা ছোটাছুটি করে ক্লান্ত হয়ে গেছেন বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, তাই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শিথিল করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের ইন্টারভিউও আমরা বাদ দিয়েছি। অনুরোধ করেছি, ইন্টারভিউ যেন না নেয়া হয়। পুলিশ ভেরিফিকেশনের দরকার নেই, তাদের তাড়াতাড়ি কাজে যোগ দেয়ার সুযোগ দেয়া হোক।’
লকডাউন বাস্তবায়ন না হলে ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কা করছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘লকডাউন দিয়ে যদি মানাতে না পারি, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে তো ভয়াবহ পরিণতি। হাসপাতালে জায়গা হবে না। ইকোনোমিতে অ্যাফেক্ট পড়বে। প্রোডাকশনে অ্যাফেক্ট করে যাবে।’
চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বা শাটডাউন নিয়ে হতাশা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের ৩-৪ দিন চলছে, রাস্তাঘাটে যেভাবে মানুষ বের হচ্ছে, গাড়িঘোড়া চলছে, আমরা তাতে খুবই দুঃখিত। কারণ তাতে লকডাউন ব্রেক হচ্ছে। তারা নিজেদের ক্ষতি করছে।’
হাসপাতালের ৯০ শতাংশ আসনে রোগী ভর্তি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, করে যাব। বঙ্গমাতা কনভেনশন সেন্টারে আমরা অচিরেই উদ্বোধন করছি। এরপর কোনো ভবনও নেই যে আমরা কিছু করব, হাসপাতাল স্থাপন করব।’
এমন বাস্তবতায় লকডাউন নিয়ে বিকল্প চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে তা নাকচ করে দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘অল্টারনেট প্রস্তাব কিছু না। লকডাউন মানাতে হবে। লকডাউন মানানোর জন্য যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে আরও কঠোর হতে হবে।’
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দেখেন জরিমানা করা হচ্ছে, জেলেও পাঠানো হচ্ছে তারপরেও এটা মানছে না। কিন্তু এটা মানাতে হবে। এটা ছাড়া দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ।’ এ সময় নিজের ও দেশের মঙ্গলে সবাইকে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।