ইন্টারনেটে অতিরিক্ত সময় দিচ্ছিল ১৫ বছরের কিশোর। এর প্রভাব পড়ে পড়াশোনায়ও। পরীক্ষায় ফলও খারাপ হয়। তাই তার ‘ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করে বাবা-মা ও ছোট ভাই। এরপর ক্ষুদ্ধ কিশোর তার বাবা-মা ও ভাইকে হত্যা করে।
হত্যার পর তিনদিন ধরে তাদের মরদেহের সঙ্গে বাসাতেই বসেছিল ওই কিশোর। পরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে। পুলিশের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নেন ওই কিশোর। পুলিশ বলছে, তার বাবা-মা ও ভাই তাকে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন দূরে রাখতে চাওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে।
দ্য মিরর জানিয়েছে, একটি শিকারের রাইফেল দিয়ে প্রথমে মা ও ১০ বছর বয়সী ছোট ভাইকে হত্যা করে ওই কিশোর। তারপর রাতে যখন বাবা বাসায় ফেরে, তখন তাকেও গুলি করে হত্যা করে সে। এ ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তের দক্ষিণে এলকের কাছে আলগোদা নামের ছোট একটি গ্রামে।
বাবা-মা ও ভাই ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, কারণ স্কুলে খারাপ করেছিল ওই কিশোর। আবার বাড়ির কাজেকর্মেও খুব একটা সাহায্য করছিল না সে। এমন পরিস্থিতিতে সবার ‘বকাবকিতে’ পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে ওই কিশোর।
স্থানীয় খবরে যায়, একজন প্রতিবেশী তার বাবা-মা ও ভাইয়ের ব্যাপারে জানতে চায়। তখন ওই কিশোর তাকে জানান, কয়েকদিন আগে আমি তাদের হত্যা করেছি। আরেকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, তার দুই আন্টি পরিবারের অন্যদের মরদেহ খুঁজে পায়।
গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটেছে। ওই কিশোর নিজের পুরো অপরাধ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলেও জানা গেছে। স্পেনের ন্যাশনাল পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
খুলনা গেজেট/এএ