নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে দারুণ জয় পাওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল দ্বিতীয় টেস্টেও প্রতাপ দেখাবে বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে এসে পাশার দান বদলে গেল। ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মুমিনুল হকের দলকে।
টেস্টের তৃতীয় দিনেই কিউইদের কাছে ইনিংস ও ১১৭ রানের হার মানতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে সিরিজ ড্র করতে পারার তৃপ্তি নিয়ে দেশে ফিরতে পারছে তারা।
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের করা ৫২১ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ১২৬ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে মুমিনুলরা।
তৃতীয় দিনের শুরুটা আগের দিনের তুলনায় বেশ ভালো ছিল বাংলাদেশের। দলীয় ২১ রানে সাদমান ইসলাম সাজঘরে ফিরলেও উইকেটে থিতু হয়ে বসেন নাঈম শেখ ও নাজমুল শান্ত।
দুজনের ব্যাটে কিছু সময়ের জন্য স্বস্তি আসে বাংলাদেশ শিবিরে।
তবে শান্তকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু আনেন নেইল ওয়াগনার। ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ধরা দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।
সঙ্গীর বিদায়ের পর দলপতি মুমিনুল হকের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন নাঈম। এই দুজনের জুটিতে ভর করে দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরোয় বাংলাদেশ।
দলের স্কোর বোর্ডে যখন ১০৫ রান, তখন সফরকারীদের শিবিরে আঘাত হানেন টিম সাউদি। নাঈমকে ফিরিয়ে খোলেন নিজের উইকেটের খাতা।
এরপর লিটনকে সঙ্গে করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তবে খুব বেশি এগোতে পারেননি অধিনায়ক। ওয়াগনারের বলে প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা টেইলরের হাতে ধরা পড়েন ৩৭ রান করা এই বাঁ হাতি ব্যাটার।
১২৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুই রান করতেই ওয়াগনারের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ইয়াসির।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে যখন উইকেটের অপরপ্রান্তে যখন আসা যাওয়ার মিছিল, তখন উইকেট কামড়ে ধরে বসেছিলেন লিটন কুমার দাস। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ১০১ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পাশাপাশি টেনে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে।
সোহান বিদায় নিলেও উইকেটে থিতু হয়ে বসে থাকেন লিটন। ১০৬ বলে ১৪ চার ও এক ছয়ে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
ইনিংসের ৭৪ তম ওভারের কাইল জেমিসনের করা বলটি গালিতে ঠেলে দিয়ে দুইবার প্রান্ত বদল করেন লিটন। আর তাতেই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির মালিক বনে যান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। চলতি সিরিজে এটি কোন বাংলাদেশির প্রথম সেঞ্চুরি।
তবে সেঞ্চুরি করে ইনিংসটা বেশি দূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ১০২ রানেই তাকে থামিয়ে দেন সেই জেমিসনই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে।
এরপরই মূলত নিভে যায় বাংলাদেশের লড়াইয়ের আশাটুকুও। শেষ পর্যন্ত সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
আর তাতেই ইনিংস ও ১১৭ রানে জয়ের তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে লেইথাম বাহিনী।
খুলনা গেজেট/এনএম