মাঠের ম্যারাডোনা যা খুশি তাই করতেন। মন চাইলো তো হাত দিয়ে গোল করে দিলেন। আবার মন চাইলো বার আনা ইংল্যান্ড টিমকে কাটিয়ে গোল করলেন। সারা খেলা ডিপে থেকে রক্ষণাত্মক খেলে একটা পাস… ক্যানিজিয়াকে…. ব্রাজিল সমর্থকদের চোখে জল। মন চাইলো তো নাপোলী নামটাকে এলিট বানালেন।
ক্যামেরুন-আর্জেন্টিনা (৯০ বিশ্বকাপ) ম্যাচে ম্যারাডোনাকে আটকানোর দায়িত্বে ছিল সিরিল মেকানিকির। বেচারা মনে হয় ২৪ বার ফাউল করেছিল ম্যারাডোনাকে। ভদ্রলোকের নামটাই আমার মুখস্থ হযে গেল……
মাঠের বাইরের ম্যারাডোনাও হয়তো একই রকম ছিলেন। মন যা চাইতো অবোধ শিশুর মতো তাতেই গা ভাসাতো।
ম্যারাডোনা হঠাৎ চলে গেলেন। কেন গেলেন? আমার ভাবতে ইচ্ছা করছে এভাবে –
হাসপাতালের বেডে শুয়ে ম্যারাডোনা দেখলেন তার প্রিয় সুহৃদ ফিদেল বলছেন, একটা সিগার হলে মন্দ হতো না। আর যায় কোথায়! ম্যারাডোনা অনন্ত পানে দৌড় দিলেন প্রিয় বন্ধুর জন্য সিগার হাতে। ডাক্তার কবিরাজের সাধ্য কী আটকায় অবোধ বালককে?
২৫ নভেম্বর ফিদেলের প্রয়াণ দিবস। ম্যারাডোনারও। ইতিহাস লিখে নিল লাল কালি দিয়ে। (ফেসবুক ওয়াল থেকে)
খুলনা গেজেট/এনএম