খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীতে ফার্মগেটে বণিজ্যিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট কাজ করছে
  গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত
  ঝিনাইদহে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালকের মৃত্যু
খুবির সাথে বিইসিএ’র এমওইউ স্বাক্ষরিত

ইকোট্যুরিজম ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে : উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুন্দরবনে ইকোট্যুরিজমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিকের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে বহুমুখী গবেষণার লক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইউএসএইড এর সহায়তায় বাংলাদেশ ইকোট্যুরিজম এন্ড কনজারভেশন এলায়েন্স (বিইসিএ) এর সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ ০৬ এপ্রিল (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে এ এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন ও বিইসিএ’র পক্ষে চিফ অব পার্টি ক্রিস শিক এমওইউতে স্বাক্ষর করেন। পরে তা উভয়পক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাসঙ্গিক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপাচার্য বলেন, সুন্দরবনের প্রতিবেশ ও পরিবেশ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইকোট্যুরিজম ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এমওইউ স্বাক্ষরের ফলে একাডেমিক ক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্ব এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

এই এমওইউর লক্ষ্য- বাংলাদেশের অন্যান্য সংরক্ষিত অঞ্চলের সাথে সুন্দরবন ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পর্যটন প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি, জীববৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকার জন্য পর্যটন শাসন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, উন্নতভাবে পরিচালিত এবং আরও অন্তর্ভুক্ত পর্যটনের ফলে বনের ওপর নির্ভলশীল জনগোষ্ঠির পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং মৌলিক মানব সেবা (যেমন: জীবিকা, পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্য) সুবিধা বৃদ্ধি, পর্যটন-সম্পর্কিত বিনিয়োগ, গবেষণা এবং বাজার সংযোগ বৃদ্ধি করা।
এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ফরেস্ট্রি এন্ড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মো. ইফতেখার শামস্, সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রের মাইলস পার্টনারশীপের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (রিসার্চ এন্ড ইনসাইট) ক্রিস এডামস্, সলিমার ইন্টারন্যাশনালের কনজারভেশন এন্ড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ক্লোই কিং উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকাল ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বৃহত্তর সুন্দরবনের ইকোট্যুরিজম এবং সংরক্ষণ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক কর্মশালা সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা।

তিনি বলেন, সুন্দরবন বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। সুন্দরবনের প্রাকৃতির সৌন্দর্য দেখে আমরা যেমন মুগ্ধ হই, তেমনি সুন্দরবন আমাদের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে। সুতরাং শুধুমাত্র পর্যটন শিল্প রক্ষায় নয়, আমাদের নিজেদেরকে রক্ষার জন্যও সুন্দরবন নিয়ে ভাবতে হবে। সুন্দরবনের পর্যটন উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর লোকায়ত জ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ইকোট্যুরিজম উন্নয়নের সম্পদ হতে পারে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউএসএইড’র প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ অফিসার ক্রিস মেজারভি, যুক্তরাষ্ট্রের মাইলস পার্টনারশীপের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (রিসার্চ এন্ড ইনসাইট) ক্রিস এডামস্, খুলনা রেঞ্জের ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি দেওয়ান লালন আহমেদ ও ট্যুর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের প্রেসিডেন্ট মো. মঈনুল ইসলাম। ‘গ্রেটার সুন্দরবনস্ ইকোট্যুরিজম অ্যান্ড কনজারভেশন অ্যালায়েন্স’ শীর্ষক কী-নোট উপস্থাপন করেন ইউএসএইড’র বাংলাদেশ ইকোট্যুরিজম এন্ড কনজারভেশন এলায়েন্স’র চিফ অব পার্টি এবং সলিমার ইন্টারন্যাশনাল এর সিইও ক্রিস শীক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএসএইড’র বাংলাদেশ ইকোট্যুরিজম এন্ড কনজারভেশন এলায়েন্স’র ডেপুটি চিফ অব পার্টি এবং জার্নি প্লাস এর সিইও তৌফিক রহমান।

কর্মশালায় টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম এবং সলিমার ইন্টারন্যাশনালের কনজারভেশন এন্ড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ক্লোই কিং। কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি ৬টি সংস্থার সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউএসএইড’র বাংলাদেশ ইকোট্যুরিজম এন্ড কনজারভেশন এলায়েন্স (বিইসিএ) এর এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। এমওইউ স্বাক্ষরকালে স্ব স্ব সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট নানা শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

সুন্দরবনের ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে বিভিন্নমুখী পরিকল্পনা, পরামর্শ ও উদ্যোগের বিষয় জানিয়ে এ বিষয়ে ওয়েবসাইট, অ্যাপসহ ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার, সুন্দরবন সন্নিহিত এবং বনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠির মধ্যে সচেতনতা তৈরি, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধন, নিরাপত্তা, অবকাঠামো ও যোগাযোগ সুবিধা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

 

খুলনা গেজেট/এএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!