আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলের নানা বিষয় উঠে এসেছে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারনী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন।
সভায় স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রসঙ্গে আলোচনা উঠলে ৮ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের রাজনীতি সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করেন শেখ হাসিনার কাছে। প্রায় সব বিভাগের ইউপি ভোটে বিদ্রোহীদের আধিপত্য, নিয়ম শৃঙ্খলা কেউ মানছেন না বলে রিপোর্টে তুলে ধরেন সাংগঠনিক সম্পাদকরা।
এ সময় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, কোন ইউনিয়নে কোথায় কারা বিদ্রোহীদের মদদ দিচ্ছে তাদের তালিকা তৈরি কর। আওয়ামী লীগের খেয়ে-পরে যারা আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছে সেই নেতাদের আমি বাদ দিয়ে দেবো। দলের নীতি-আদর্শে বিশ্বাসী ও ত্যাগীদের দিয়ে নতুন করে দল সাজাব।
পরে সময় ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম মাদারীপুরের কালকিনি ও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বিদ্রোহীদের কারণে নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে জানিয়ে বলেন, এটা আমাদের জন্য অশনি সংকেত। জবাবে প্রধানমন্ত্রীও বলেন, অবশ্যই অশনি সংকেত।
খুলনা গেজেট/এনএম