সন্তান সম্ভবা কিশোরী আর তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মা ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না। এমন সময় মেয়েটির প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। এরপর ইউটিউবের ভিডিও দেখে নিজে নিজেই একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় মেয়েটি। এমনকি ভিডিও দেখে আম্বিলিক্যাল কর্ডও নিজে নিজেই কাটে সে।
বুধবার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই কিশোরীর বাবা রাতের শিফটে কাজ করেন। ঘটনা সময় তিনি বাড়ি ছিলেন না। এমনকি মেয়ের গর্ভধারণের ব্যাপারে তার বাবামা জানতেনই না।
সন্তান জন্ম দেওয়ার দুইদিন পর মেয়েটি কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ভারতের কেরালার মালাপ্পুরম জেলার এই ঘটনা সামনে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুজনের পরিবারই তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে জানতেন। এমনকি মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাদের বিয়ের ব্যাপারেও সম্মত ছিল দুই পরিবার। কিন্তু এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন। ওই যুগল খবরটি দুই পরিবারের কাছেই লুকিয়ে রেখেছিলেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়েটি অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ার পর অনলাইনে ক্লাস করার অজুহাতে নিজেকে একটি কক্ষে আটকে ফেলেছিল। কারো সামনে বের হতো না সে।
মেয়েটির বড় বোন শ্বশুরবাড়িতে আর ভাই পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকায় মেয়েটির ওই অবস্থা প্রকাশ হয়নি। মেয়েটির মাও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিষয়টি তার অগোচরেই ছিল। বাবার সামনেও আসত না মেয়েটি।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শিশুর কান্নার আওয়াজ শোনার পর মেয়েটির বাবামা বিষয়টি জানতে পারেন। পরে মেয়েটির প্রসব পরবর্তী জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাকে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় মেয়েটির মা। বর্তমানে মেয়েটি সুস্থ হয়ে উঠছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মালাপ্পুরম জেলা শিশু কল্যাণ কমিটিকে (সিডাব্লিউসি) জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েটির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে পকসো আইনের আওতায় ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে