ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে প্রায় ৪০টি দেশের আলোচনা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম তেলবাহী জাহাজ। হামলা হয়েছে রাশিয়ার একটি নৌঘাঁটিতেও। এতে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া না গেলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যথেষ্ট।
ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বন্ধের বিষয়ে প্রায় ৪০টি দেশকে নিয়ে শনিবার (৫ আগস্ট) বিশেষ সম্মেলন শুরু হয়েছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। এতে ইউক্রেনসহ প্রায় ৪০টি দেশ অংশ নিলেও থাকছে না রাশিয়া।
শুক্রবার অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর অতিথিদের নিজে উপস্থিত থেকে স্বাগত জানাতে দেখা গেছে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে। তিনি বলেছেন, এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, খাদ্য নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে আফ্রিকা, এশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য অংশের লাখ লাখ মানুষের ভাগ্য সরাসরি নির্ভর করছে বিশ্ব শান্তি ফর্মুলার বাস্তবায়ন কতটা দ্রুত অগ্রসর হয় তার ওপর।
গত মাসে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সই হওয়া শস্য চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় পণ্য রপ্তানি আবারও হুমকির মুখে পড়েছে। জেলেনস্কি আশা করছেন, এই সম্মেলনে বিশ্বনেতারা তার ১০ দফা ফর্মুলাকে সমর্থন করবেন।
তবে জেদ্দায় সৌদি আরবের উদ্যোগে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই রাশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম তেলবাহী জাহাজ দ্য সিগে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কের্চ প্রণালীতে জাহাজটির ওপর হামলা হলে গায়ে বড় একটি ছিদ্র তৈরি হয়েছিল। তবে সেটি এরই মধ্যে মেরামত করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতের পরে হামলার সময় জাহাজটিতে কোনো তেল ছিল না এবং এতে কেউ হতাহতও হননি।
তবে ইউক্রেনের দাবি, হামলার সময় জাহাজটিতে রুশ সামরিক বাহিনীর জন্য তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং এতে কয়েকজন কর্মী আহতও হয়েছেন।
এর কিছুক্ষণ আগে কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তি নভোরোসিস্ক শহরে রাশিয়ার একটি বড় নৌঘাঁটি লক্ষ্য করার ড্রোন হামলা চালায় কিয়েভ। এতে একটি উভচর জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রায় ডুবে যেতে বসেছিল।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মস্কোসহ রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে ড্রোন হামলা বাড়িয়েছে ইউক্রেন। এসব ড্রোন দেড় বছর ধরে চলা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা।
খুলনা গেজেট/কেডি