ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকে বসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ। সোমবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এই বৈঠক হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর শুরু হওয়া ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ সোমবার পৌঁছেছে ১৯তম দিনে। এই অভিযান বন্ধ ও ইউক্রেনে স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি কার্যকরে কী করণীয়—সে বিষয়ক আলোচনাই এ বৈঠকে প্রধান্য পাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ইউক্রেন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তুরস্কের অবস্থান বেশ স্বতন্ত্র। কারণ, কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে ইউক্রেন ও রাশিয়া— উভয় দেশের সঙ্গেই সমুদ্র সীমান্ত আছে তুরস্কের এবং দেশটি একই সঙ্গে ইউক্রেন ও রাশিয়র ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর একমাত্র প্রাচ্যদেশীয় সদস্যরাষ্ট্র তুরস্ক।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বিষয়ক আলোচনার স্থান ও ফ্রেমওয়ার্ক নির্মাণে ইউক্রেন তুরস্ক ও ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বলে রোববার জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। অবশ্য গত সপ্তাহেই তুরস্কের আনতালিয়ায় এই ইস্যুতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছিল আঙ্কারা।
এদিকে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে জার্মানির চ্যান্সেলর পদে আসীন হওয়ার পর এই প্রথমবার আঙ্কারায় যাচ্ছেন ওলাফ শুলজ।
দুই শীর্ষনেতার বৈঠকে বৈঠকে ইউক্রেন ছাড়াও তুরস্ক ও জার্মানির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে।
২০০৫ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে তুরস্ক এবং এক্ষেত্রে তুরসের প্রধান ভরসার দেশ জার্মানি। দেশটির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যানজেলা মের্কেল এর আগে একাধিকবার ইইউয়ের সদস্যপদের জন্য তুরস্ককে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন।