জীবাণু অস্ত্র উৎপাদনের জন্য ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি গবেষণাগারে উচ্চ সংক্রমণশীল করোনাভাইরাস এবং অন্যান্য বিপজ্জনক রোগজীবাণু নিয়ে পরীক্ষা চলছিল। গত সপ্তাহে রুশ বাহিনী গবেষণাগারগুলো দখলে নেওয়ার পর সেখান থেকে জব্দ করা নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) এমন দাবি করেছে মস্কো।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভের বরাতে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, মার্কিন অর্থায়নে ইউক্রেনে নির্মিতি বায়ো-ল্যাবরেটরিতে বাদুড়ের শরীর থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছিল বলে দেখা গেছে জব্দ করা নথিতে।
রুশ কর্মকর্তাদের দাবি, পাখি, বাদুড় এবং সরীসৃপের রোগজীবাণুর ওপর কাজ করতে চাইছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া এসব প্রাণীর রোগজীবাণু আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরের ভাইরাস এবং অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ করতে পারে কি না, তা নিয়েও গবেষণা করার পরিকল্পনা ছিল ওয়াশিংটনের।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কোনাশেনকভের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইউক্রেনের বায়ো-ল্যাবে বিজ্ঞানীরা অন্যান্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি রাশিয়া, ইউক্রেন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে স্থানান্তরিত বন্য পাখিদের মাধ্যমে প্যাথোজেন (রোগ সংক্রামক জীবাণু) সংক্রমণের সম্ভাবনার দিকে নজর রাখছিলেন।
গত রোববার (৬ মার্চ) ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি গবেষণাগার দখল করার ঘোষণা দেয় রাশিয়া। মস্কোর দাবি, গবেষণাগারগুলো দখলে নেওয়ার পর সেখানকার কিছু কর্মী রুশ সেনাদের জানিয়েছে যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করার পর প্লেগ এবং অ্যানথ্রাক্সসহ ল্যাবে থাকা বিপজ্জনক অনেক রোগজীবাণু ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার এসব দাবির জবাবে মস্কোর বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা ছড়ানোর’ অভিযোগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস।
খুলনা গেজেট/কেএ