অস্ত্র ভাণ্ডার ফুরিয়ে আসছে, নেই ওষুধও। পশ্চিমা দেশগুলো যেন দ্রুত অস্ত্র ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে সাহায্য করে, সেই অনুরোধ জানিয়েছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর ১০০ দিন পার করেছে ইউক্রেন। এরইমধ্যে ফুরিয়ে আসছে অস্ত্র ভাণ্ডার, নেই ওষুধও। তাই পশ্চিমা দেশগুলো যেন দ্রুত অস্ত্র ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে সাহায্য করে, সেই অনুরোধ জানিয়েছে দেশটি।
এদিকে যত সময় যাচ্ছে, ততই খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে ইউক্রেনের পরিস্থিতি। শুধু গোলাগুলিই নয়, এবার ইউক্রেনের শহরে ছড়িয়ে পড়ছে মরণ রোগও। সেখানে দেখা দিয়েছে কলেরার প্রাদুর্ভাব।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের পশ্চিমে অবস্থিত বন্দর শহর মারিউপোল। লাগাতার হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ওই শহর। বাড়িঘর বলতে আর কিছুই নেই। রাস্তাঘাটেই দিন-রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রুশ সেনার গোলাবর্ষণে কমপক্ষে কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃতদেহ সরানোর কোনো ব্যবস্থাই নেই। তাই রাস্তার ধারেই পচছে মরদেহগুলো।
পচাগলা দেহ থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। সেগুলোর ওপরে মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তা থেকেই বিভিন্ন সংক্রামক রোগও ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যেই আমাশয় ও কলেরার মতো রোগ দেখা দিয়েছে।
মারিউপোলের মেয়র ভাদিম বইচেনকো বলেন, ‘শহরে আমাশয় ও কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে। ২০ হাজার বাসিন্দার এই শহরের ওপর হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সংক্রমণগুলো ছড়িয়ে পড়ায় আরও হাজার হাজার মারিউপোলবাসীর প্রাণ যেতে পারে।’
রুশ সেনার নৃশংস রূপ তুলে ধরতে গিয়ে মেয়র জানান, ‘যুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের মরদেহ কুয়ায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। ফলে পচা-গলা দেহ থেকে পানিও সংক্রমিত হয়ে পড়ছে। যারা ওই পানি খাচ্ছেন, তারাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’
খুলনা গেজেট/ এস আই