ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন নগরীতে নতুন করে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ওপর এ হামলায় দেশজুড়ে অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জাপোরিঝিয়ার বিভিন্ন ভবনে আঘাত হানছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। এতে ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং অন্তত ২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের উপপ্রধান কিরিলো টিমোশেঙ্কো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং জ্বালানি সরবরাহ পুনরায় সচল করার কাজ চলছে।
বিবিসি জানায়, রাশিয়ায় দুইটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনার কয়েকঘন্টা পর ইউক্রেনজুড়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়। যদিও দু’য়ের মধ্যে যোগসূত্র থাকার কোনও লক্ষণ নেই।
রাশিয়ার ব্যাপক হামলার ফলে ইউক্রেনের ওদেসা অঞ্চলের জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর মাকসিম মারশেঙ্কো।
বেসামরিক নাগরিকদের বাড়িঘরের ওপরও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওদেসার বেশিরভাগ এলাকাতেই বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলেও জানান মারশেঙ্কো।
রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডে একের পর এক নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করার পর পশ্চিমা এবং ইউক্রেনীয় নেতারা এই যুদ্ধ কৌশলকে যুদ্ধাপরাধের তকমা দিয়েছেন। কারণ, রুশ বাহিনীর এ হামলায় সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
তবে যুদ্ধের ক্ষেত্রে জ্বালানি অবকাঠামোকে নিশানা করা দীর্ঘদিন থেকেই যুদ্ধের কৌশল। ১৯৯১ সালের প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে নিশানা করেছিল এবং ন্যাটো বাহিনী ১৯৯৯ সালে সার্বিয়ার জ্বালানি স্থাপনায় আঘাত হেনেছিল।