যশোরের মণিরামপুরে ওএমএসের ডিলার নিয়োগকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্লার্ক শাহীন আলমকে মারধরের অভিযোগে বহিস্কৃত হলেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলাম। শুক্রবার (৭ মার্চ) কেন্দ্রীয় যুবদলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার এ বহিষ্কারাদেশ পাঠানো হয়েছে।
যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঞা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পেশী শক্তি প্রদর্শনপূর্বক প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর সাথে অসদাচারণের মাধ্যমে দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলামকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোন অপকর্মের দায় সংগঠন নেবে না। তার সাথে যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করে ভুক্তভোগী শাহীন আলম জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ইউএনও কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনে তাকে মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মানববন্ধনে ইউএনও নিশাত তামান্না, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুমসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন।
মণিরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শাহীন আলমকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা পরিষদে কর্মরত সবাই একত্রিত হয়ে মানববন্ধন করেছি। আমরা সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য হয়রাণিমুক্ত সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ দাবি করছি।
এদিকে, শাহীন আলমকে মারধরের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মণিরামপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রিপন সরদারকেও সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মণিরামপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কামরুল গাজী ও সদস্য সচিব মাসুদ গাজী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে