করোনাভাইরাসের নতুন ধরণটির সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকার মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার ইংল্যান্ডে জাতীয়ভাবে নতুন লকডাউন ঘোষণা করেছেন। টিকা সর্বসাধারণের মাঝে বিতরণের আগ পর্যন্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাতে স্বাস্থ্য খাতের অংশবিশেষ ভেঙে না পড়ে সেজন্য এই লকডাউন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমনটি জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন লকডাউনের নির্দেশনাটি বুধবার সকালে আইনে পরিণত হবে। ফলে লকডাউনে জরুরি কারণ ছাড়া ইংল্যান্ডের সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। মঙ্গলবার থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা দিবে।
অন্যদিকে, স্কটল্যান্ড আগেই ঘরে থাকার নির্দেশনা জারি করেছে। ওয়েলসের অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের স্কুলগুলোও অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতিতে চলছে এবং এর সময়সীমা বাড়ানো হবে।
ইংল্যান্ডের এই লকডাউন মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জারি রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, “সংক্রমণ ও রোগী সংখ্যা বাড়তে বাড়তে আসন্ন সপ্তাহগুলো আমাদের জন্য ‘সর্বোচ্চ কঠিন’ অবস্থা হতে পারে। রোগীর ভিড়ে হাসপাতালগুলো মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছে।’’ তবে এই লকডাউনই দেশের জন্য শেষ পর্যায়ের সংগ্রাম হবে বলে বিশ্বাস বরিস জনসনের।
এদিকে, যুক্তরাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা চার ধরনের মানুষজনকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় নাগাদ টিকা দেওয়া হবে। কেয়ার হোমের বাসিন্দা এবং সেখানে কর্মরতরা, ৭০ বছরের বেশি বয়সীরা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা খাতের কর্মী এবং ব্যাপক মাত্রায় অসুস্থ ব্যক্তিরা এই অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম