টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের এক ফাইনালিস্ট ঠিক হয়ে গেছে। প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে পাকিস্তান। আজ বৃহস্পতিবার ঠিক হবে আরেক প্রতিপক্ষ। বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার মিশনে আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও ভারত।
অ্যাডিলেড ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে ভারত। আজকের ম্যাচে জয়ী দল আগামী ১৩ নভেম্বর ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে।
‘বি’- গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিতে আসে ভারত, ‘এ’- গ্রুপের রানার্সআপ ইংল্যান্ড। চলতি আসরে ভারত আছে দুর্দান্ত ফর্মে। সুপার টুয়েলভে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারে ভারত। বাকি চার ম্যাচে জিতেছে আধিপত্য রেখে।
ভারতের জন্য সবচেয়ে স্বস্তির খবর, ছন্দে আছে পুরো দল। ব্যাট হাতে আসরে সর্বোচ্চ ২৪৬ রান বিরাট কোহলির, ২২৫ রান সূর্যকুমার যাদবের। বল হাতে ১০ উইকেট পেয়েছেন আর্শদিপ সিং। অধিনায়ক রোহিত শর্মা স্বভাবসুলব ছন্দে না থাকলেও খুব বেশি চিন্তিত নয় টিম। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে রানে ফিরেছেন ওপেনার লোকেশ রাহুলও। তাই কিছুটা নির্ভার থাকতেই পারে রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা।
অপরদিকে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ ইংল্যান্ডও কেবল এক ম্যাচেই হেরেছে। বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে আরেক ম্যাচে। ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংলিশদের বোলিং বিভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্যাম কারান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০ রানে ৫ উইকেটসহ তাঁর ঝুলিতে আছে ১০ উইকেট। ইংল্যান্ডের বাজির অন্যতম ঘোড়া এই পেসার। এ ছাড়া বেন স্টোকস, মঈন আলিরা যেকোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন, যা ভারতকে আসর থেকে বিদায় করে দিতে যথেষ্ট।
অ্যাডিলেডের এই পিচে ১৬০ রান ভালো পুঁজি হতে পারে আগে ব্যাট করা দলের জন্য। পিচ থেকে স্পিনাররা একটু সুযোগ পেতে পারে। যা ভারতের জন্য হতে পারে টার্নিং পয়েন্ট। ইংল্যান্ডকে সুবিধা এনে দিতে প্রস্তুত আছেন আদিল রশিদ, যিনি সদ্য প্রকাশিত টি-টোয়েন্টি বোলারদের তালিকায় উঠে এলেন আট নম্বরে।
২০১৩ সালের পর আইসিসির কোনো আসরে শিরোপা জিততে পারেনি ভারত। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে চমৎকার ফর্মে থাকা ভারত চাইবে সুযোগ লুফে নিতে। এর আগে ইংলিশ বাঁধা টপকাতে কাল নিশ্চয়ই সবটা দিবে ব্লু আর্মিরা। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইতে এগিয়ে আছে ভারত। ২২ দেখায় ভারতের জয় ১২টি, ইংলিশরা শেষ হাসি হাসে ১০ বার।