অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ট্রফি জিতেছে ভারত। এ নিয়ে পাঁচ বার ট্রফি জিতল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই স্বপ্নের ছন্দে ছিলেন রবি কুমার। দ্বিতীয় ওভারেই তিনি তুলে নেন ওপেনার জ্যাকব বেথেলকে। রবির ভেতরে ঢুকে আসা বল বুঝতেই পারেননি জ্যাকব। সোজা গিয়ে তার প্যাডে লাগে। চতুর্থ ওভারে ফের সাফল্য। এবার রবির শিকার প্রতিযোগিতায় দারুণ ছন্দে থাকা ইংরেজ অধিনায়ক টম প্রেস্ট। অফ স্ট্যাম্পে থাকা হাফভলি বলে কাট করতে গিয়েছিলেন। বল ব্যাটের কোনায় লেগে ঢুকে এসে উইকেট ভেঙে দেয়।
এরপর শুরু হয় রাজের জাদু। পরপর তিনি তুলে নেন জর্জ থমাস, উইলিয়াম লাক্সটন, জর্জ বেল এবং রেহান আহমেদকে। সামান্য কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার পর ফেরেন অ্যালেক্স হর্টনও। ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে ইংল্যান্ড। ভারতের খুদেদের স্বপ্ন ইংল্যান্ডকে ১০০-র মধ্যে শেষ করে দেওয়ার। কিন্তু মাটি কামড়ে লড়াই চালিয়ে গেলেন দুই জেমস। একজন রিউ, অপরজন সেলস। দুই জেমসের মরণপণ লড়াইয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেলেন যশ ঢুলরা। অষ্টম উইকেটে দু’জনের জুটি ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফেরাল।
কিন্তু প্রথম স্পেলের মতোই শেষ স্পেলে বল করতে এসে ফের ভয়ংকর হয়ে উঠলেন রবি। বল মিড অন দিয়ে ওড়াতে গিয়ে আউট হলেন রিউ। শতরানের থেকে মাত্র ৫ রান দূরে। কৌশল তাম্বেরও প্রশংসা প্রাপ্য। বল প্রথমে হাত থেকে ফস্কে গিয়েছিল। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে ক্যাচ ধরে নেন। রিউ ফেরার পর ৫ রানের মধ্যেই ইংল্যান্ডের বাকি দুই উইকেটের পতন হয়।
ভারতের শুরুটাও ভাল হয়নি। দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান ছন্দে থাকা অঙ্গক্রিশ রঘুবংশী। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নিয়ে প্রথম উইকেটে জুটি গড়ছিলেন হর্নুর সিংহ এবং শেখ রশিদ। কিন্তু লেগ সাইডের বল ছাড়তে গিয়ে গ্লাভসে লাগে হর্নুরের। উইকেটকিপার সহজেই ক্যাচ ধরেন। দায়িত্ব এসে পড়েছিল সেই রশিদ এবং যশের কাঁধেই। সেমিফাইনালে চাপের মুখে অসাধারণ জুটি গড়েছিলেন দু’জনে। ফাইনালেও ভালোই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ার আগেই ফিরলেন রশিদ। অর্ধশতরান করেই তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়লেন। কয়েক বল পরে আউট ঢুলও। পরপর দু’উইকেট নিয়ে তখন রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড।
সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন নিশান্ত সিন্ধু এবং রাজ। দুইজনে মিলে পঞ্চম উইকেটে যে – রানের জুটি গড়লেন, তাই ভারতকে বিশ্বকাপ জয়ের দিকে এগিয়ে দিল।