বিশ্বকাপে পঞ্চম হারের স্বাদ পেল চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। লখনৌয়ে ভারতকে অল্পরানে (২২৯/৯) বেঁধে ফেললেও ইংলিশ ব্যাটাররা সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি। বলা যায় ভারতীয় দুই পেসার জাসপ্রি বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সামি সেই সুযোগ দেয়নি ইংলিশ ব্যাটারদের। টানা জয়ে সর্বপ্রথম সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো আয়োজক ভারত।
শেষ পর্যন্ত ১২৯ রানেই থেমেছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের দৌড়। ফলে ১০০ রানের হার দিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংলিশরা।
এর আগে রোববার (২৯ অক্টোবর) লখনৌর একানা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২২৯ রান তোলে ভারত। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
পাঁচ ম্যাচ পর প্রথমবারের মতো আগে ব্যাটিং করেছে ভারত। যদিও শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় ২৬ রানের মাথায় ক্রিস ওকসের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার শুভমান গিল। ১৩ বলে ৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
প্রথম উইকেটের পর দ্বিতীয় উইকেট হারাতেও খুব বেশি সময় লাগেনি ভারতের। দলীয় ২৭ রানের মাথায় উইলির বলে স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোহলি। ৯ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। তার বিদায়ে বেশ চাপে পড়ে ভারত। সেই চাপ আরও বাড়ে দলীয় ৪০ রানের মাথায় শ্রেয়াস আইয়ারের বিদায়ে। ১৬ বলে চার রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর কেএল রাহুলকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন অধিনায়ক রোহিত। এই জুটিতে ৭১ রান আসে ভারতের। দলীয় ১৩১ রানে রাহুলের বিদায়ে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। ৫৮ বলে ৩৯ রান আসে ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। রাহুলের বিদায়ের পর অধিনায়ক রোহিত শর্মাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন রোহিত। আদিল রশিদের বলে লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। ১০১ বলে ৮৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। রোহিতের বিদায়ের পর আরেক ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজাও দ্রুত ফেরেন। দলীয় ১৮২ রানে রশিদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর বুমরাহকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন যাদব। দলীয় ২০৮ রানের মাথায় ৪৭ বলে ৪৯ রান করে বিদায় নেন যাদব। এরপর লেজের সারির ব্যাটাররা চেষ্টা করেও স্কোরবোর্ডে ২২৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত।
খুলনা গেজেট/কেডি