খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট
  চাঁদপুরে জাহাজে ৭ জনকে হত্যা: আসামি ইরফান ৭ দিনের রিমান্ডে

আ.লীগ ২২৩, জাপা ১১, স্বতন্ত্র ৬৩

গেজেট ডেস্ক

টানা চতুর্থবারের মতো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আওয়ামী লীগ। পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর বর্জনে ক্ষমতাসীনদের বিজয় নিশ্চিত থাকায় গতকাল রোববারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কত হবে, তা ছিল মূল আকর্ষণ। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দাবি, ৪০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে।

ভোটের হার নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্ন– বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার, জাল ভোট, অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। ২৯৯ আসনের মধ্যে ২২৩টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৬২ আসনে। জাতীয় পার্টি (জাপা) জয়ী হয়েছে ১১টিতে। এ ছাড়া কল্যাণ পার্টি, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের জয়ী হয়েছেন।

ভোটে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন।

আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আসন ছাড় পেলেও জাপার মতোই ভরাডুবি হয়েছে ১৪ দলের শরিকদের। ছাড়ের ৬ আসনের চারটিতে শরিক দলের নেতারা হেরেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকীসহ জাতীয়ভাবে পরিচিত আরও অনেক নেতা হেরে গেছেন। ছাড়ের ২৬ আসনের ১৫টিতে হেরেছে জাপা।

ইসির হিসেবেই বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টায় প্রদত্ত ভোট ছিল ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। শেষ ঘণ্টায় ১৩ শতাংশের বেশি ভোট পড়ায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, নির্বাচন বর্জন সফল হয়েছে। সিংহভাগ কেন্দ্র ছিল ভোটারশূন্য। সরকার ভোটের হার ৪০ শতাংশ বলতে চাইলে বলুক। চাইলে ১০৫ শতাংশও বলতে পারে।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট নেওয়া হয়। রাজধানীতে দিনভর ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। গ্রামীণ এলাকায়, যেখানে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল, সেখানে ভোটার বেশি ছিল। পার্বত্যাঞ্চলের ৯টিসহ আরও কয়েকটি কেন্দ্রে একজনও ভোট দেয়নি। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, সহিংসতা, গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। মুন্সীগঞ্জে নৌকার এক সমর্থককে কুপিয়ে খুন করে প্রতিপক্ষ। কুমিল্লার দেবিদ্বারে হাতাহাতিতে প্রাণ গেছে একজনের।

বিএনপিবিহীন নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে এবারের নির্বাচনে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার উৎসাহ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। বিএনপির সাবেক নেতাদের নিয়ে গঠিত কিংস পার্টি নামে পরিচিতি পাওয়া দলগুলোরও ভরাডুবি হয়েছে। কোথাও জিততে পারেননি তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএমের প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বিএনপির দলছুট ১০ নেতার মধ্যে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে এসএকে একরামুজ্জামান জয়ী হয়েছেন।

জয় পেয়েছেন বিএনপি জোট ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি কক্সবাজার-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কেন্দ্র দখল করে বিজিবি সিল মারছে– অভিযোগ তুলে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এমপি জাফর আলম নির্বাচন বর্জন করেন। অনিয়মের অভিযোগে আরও ৩৫ প্রার্থী ভোট চলাকালে নির্বাচন বর্জন করেছেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!