খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

আ. লীগ মুখে বলে একটা, কাজ করে আরেকটা : মির্জা ফখরুল

গেজেট ডেস্ক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে বলে একটা, কাজ করে আরেকটা। আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে। এদেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।’

গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বৈঠকে বর্তমান দেশের রাজনীতির যে প্রেক্ষিত, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই আন্দোলনকে বেগবান করতে ভবিষ্যতে কী কর্মসূচি হওয়া উচিত, আর কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে এবং কীভাবে জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা যেতে পারে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা অনির্বাচিত সরকার পতনের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলন করছি। সামনের দিনে জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করে আন্দোলনকে বেগবান করে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মী মামলার আসামি; তা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবিতে একমত হয়েছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে, তখন বিএনপি চেয়ারপারসন এবং খালেদা জিয়া বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে বাংলাদেশে একটি চিরস্থায়ীভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হলো এবং দেশে একটি অস্থিতিশীল অনিশ্চয়তা এবং সহিংসতার দ্বার উন্মুক্ত করা হলো। যার প্রমাণ ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এদেশের মানুষ জানে না তারা তাদের ভোট দিতে পারবে কি পারবে না। আওয়ামী লীগ অতীতে যে কাজগুলো করেছে, তাতে দেশে জনগণ নিশ্চিত, এদের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠ হয় না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা আমাদের সমাবেশের তিন দিন আগে থেকেই স্ট্রাইক করে। পুলিশকে নামিয়ে দিয়ে রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইলফোন পর্যন্ত তারা চেক করতে থাকে। গত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আগে পুলিশ দিয়ে তারা ১৫ দিন আগে থেকেই বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল। বিরোধীদলকে তারা কর্মসূচি করতে দেবে না, বাধা দেবে। ভিন্ন মত সহ্য করবে না। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ তাদের কথা বলতেই থাকবে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই জবরদখলকারী ফ্যাসিবাদী, অনির্বাচিত সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা যে ১০ দফা দাবি দিয়েছি, সেই দাবি আদায় করার জন্য আমরা যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি। এ যুগপৎ পথ আন্দোলনের মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে আজকে আমরা ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসেছি। এরপর যে সকল দল এবং জোট রয়েছে তাদের সাথেও বসবো।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী মো. আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো. তফাজ্জল হোসেন।

বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!