খুলনায় ডুমুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা আওয়ামী নেতা উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজগর আলী তারা বিশ্বাসকে আটক করার গুঞ্জন উঠেছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করেছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
সোমবার (০৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ডিবি তাকে আটক করে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান রবি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর রায়ের মহলের মোস্তফার মোড় এলাকায় বিশ্বাস প্রোপার্টিজের অফিসে অভিযান চালায়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজগর আলী (তারা বিশ্বাস) বিশ্বাসকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে। আটকের পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ তার আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেনি।
এদিকে তারা বিশ্বাসের আটকের পর ডুমুরিয়া থানা পুলিশ দীর্ঘ তিন ঘণ্টা তারা বিশ্বাসের মালিকানাধীন বিশ্বাস প্রোপার্টিজের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে একটি শটগান, একটি খেলনা পিস্তল, একটি রিভলবার সদৃশ লাইটার, ৫৭ রাউন্ড কার্তজ ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা জব্দ করেছে।
খুলনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডে ক্লু সম্পর্কিত কোনো তথ্য আমার জানা নেই। তবে তথ্য উদঘাটনের জোর চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত পৌঁনে ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামকস্থানে দুর্র্বৃত্তদের গুলিতে শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ রবিউল ইসলাম রবি (৪৬) নিহত হন। ঐ দিন তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের শহিদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে মোটরসাইকেলে একা খুলনার বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। রাত পৌঁনে ১০টার দিকে তিনি খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামকস্থানে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে পেছন দিক থেকে বেশ কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার পিঠে ৫টি গুলি বিদ্ধ হয়ে রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ শুনে পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সোয়া ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খুলনা গেজেট/কেডি