বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ-পদবী থেকে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে চুড়ান্তভাবে বহিষ্কার এবং অব্যাহতির জন্য দলীয় হাইকমান্ডে সুপারিশ করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারী) বিকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে এমন সুপারিশ করার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় সভায় উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের ৮০ শতাংশ সদস্যের সর্ব সম্মতিক্রমে এই সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামীকাল এ সংকান্ত চিঠি আওয়ামী লীগ দলীয় সভানেত্রী-সম্পাদক বরাবরে পাঠানো হবে।
তিনি আরো বলেন, পাঁচটি এজেন্ডা নিয়ে শুরু হওয়া জেলা আওয়ামী লীগের এই কার্যকরি সভায় সকল বক্তার বক্তব্যে একরামুল করিম চৌধুরীর দল বিরোধীতার বিষয়ে ক্ষোভ ফুটে ওঠে। এসময় সকলে একরামুল করিম চৌধুরীকে দল থেকে চুড়ান্তভাবে বহিষ্কারের দাবি তোলেন। পরে উপস্থিত সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে একরামুল করিম চৌধুরী এমপিকে আওয়ামী লীগ থেকে চুড়ান্তভাবে বহিষ্কার এবং অব্যহতির জন্য দলীয় হাইকমান্ডে সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আহবায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, একরামুল করিম চৌধুরী আমাদের দলের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হয়েও সদ্য সমাপ্ত পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী এবং দলীয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জনগনকে বিভ্রান্তিকর অবস্থায় ফেলেছেন। তাই আজকের সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ-পদবী থেকে অব্যহতি এবং চুড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির এই সভায় জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেলসহ জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্য।