আওয়ামী লীগ আমলের সব নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শনিবার রাতে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে হওয়া জাতীয় ও স্থানীয় সব পর্যায়ের নির্বাচনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে বলেছি। কারণ এই সমটায় শেখ হাসিনা একটি ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থায় ইলেকশন করেছিল এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। রাতের নির্বাচন হয়েছে, ডামি প্রার্থীর ভোট হয়েছে, সেই নির্বাচনগুলো নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই নির্বাচনগুলোকে সেই সময়ের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও বিভিন্ন সময়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা মনে করি, সেই নির্বাচনগুলো থেকে আবার আদালতে নিয়ে গয়ে এক ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। তাই বিশৃঙ্খলা এড়াতে পূর্বের নির্বাচনগুলোকে আইনগতভাবেই অবৈধ ঘোষণা যাতে করা হয়।’
নাহিদ বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জারি করা হয় সে বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টাকে। তিনি তা আশ্বস্তও করেছেন। এছাড়া বৈঠকে দ্রুত সময়ের মধ্যেই সকল জুলাই শহীদ ও আহতদের সহায়তার নিশ্চয়তার দাবি জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র উপদেষ্টাদের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই- তারা সরকারে থেকে গণঅভ্যুত্থানকে প্রতিনিধিত্ব করছে। তবে ছাত্র প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করতে বলা মানে তাদের অবজ্ঞা করা। আমরা এর নিন্দা জানিয়েছি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আপনার উপর যে দায়িত্ব আছে। সেটা পালন করেই আপনাকে দায়িত্ব ছাড়তে হবে।
এর আগে শনিবার সাড়ে ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় যান। এতে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা অংশ নেন।
তার আগে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা ড. অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিএনপির পরে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম