পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার। বুধবার বিস্ময়কর এই ঘোষণা দেন তিনি। ৪৫ বছর বয়সী এই নেতা বলেছেন, সরে যাওয়ার জন্য এখনই সঠিক সময়। এছাড়া তিনি ক্ষমতাসীন জোটে নিজ দল ফাইন গায়েলের প্রধানের পদ থেকেও সরে দাঁড়াবেন বলে জানা যায়।
বুধবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার বলেছেন- তিনি ক্ষমতাসীন ফাইন গায়েল দলের নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। তার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার পরপরই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও সরে দাঁড়াবেন।
তিনি বলেন, তার পক্ষে সরে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়। পদত্যাগের পেছনে কারণ ঠিক কী তার বিশদ বিবরণ না দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার পদত্যাগের কারণ ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক, তবে প্রধানত রাজনৈতিক।
২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন লিও ভারাদকার। সেসময় তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্বপালন করেন। এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে আবারও এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন ভারাদকার প্রথমবার নির্বাচিত হন, তখন তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন এবং আয়ারল্যান্ডের প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রীও তিনি। এছাড়া ভারাদকারের মা আইরিশ এবং বাবা হচ্ছেন ভারতীয়। এতে করে তিনি হচ্ছেন আয়ারল্যান্ডের প্রথম দ্বিজাতিক প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ভারাদকারের পদত্যাগের ঘোষণার পর আয়ারল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে। তাঁরা হলেন—উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী সিমন হ্যারিস, উদ্যোক্তাবিষয়ক মন্ত্রী সিমন কোভেনি, সরকারি ব্যয়বিষয়ক মন্ত্রী প্যাসক্যাল ডোনোহাউ ও বিচারবিষয়ক মন্ত্রী হেলেন ম্যাকএন্টি।
তবে ভারাদকারের পদত্যাগের ফলে আয়ারল্যান্ডে আগাম নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না। কিন্তু এমন সময়ে তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন, যখন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র ১০ সপ্তাহ বাকি। আর আয়ারল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময় বাকি রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম