আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ও সিরিজ নির্ধারনী ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নেমে আগের ম্যাচের আগ্রাসন অনুপস্থিত বাংলাদেশের ব্যাটে। উইকেটে সেট হয়েও ব্যাটাররা দিতে পারলেন না দায়িত্বশীলতার পরিচয়। তাতে স্কোরবোর্ডে জমা হলো না বড় সংগ্রহ।
রোববার (১৪ মে) চেমসফোর্ডে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। এই ম্যাচটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেছে নিয়ে অভিষেক ঘটানো হয়েছে দুই নতুন মুখের। টাইগারদের জার্সিতে এদিন অভিষেক হয়েছে ওপেনার রনি তালুকদার ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর। এছাড়া আইপিএলের পর এদিনই প্রথম বাংলাদেশের হয়ে খেলতে নামেন মুস্তাফিজুর রহমান।
এদিন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অলআউট হওয়ার আগে ৪৮.৫ ওভারে ২৭৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এছাড়া ৪৫ রান করেন মুশফিকুর রহিম।
তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিং করতে নামেন টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া রনি তালুকদার। তবে অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি রনি। ১৪ বল খেলে ৪ রান করেই আদায়ারের বলে টাকারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত এদিনও ভালোই খেলছিলেন। সেট হয়ে বড় ইনিংস খেলার পথেই ছিলেন। ব্যাট হাতে অস্বস্তি কাটিয়ে তামিমও দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু দলীয় ৬৭ রানে ভেঙে যায় এই জুটি। ৩২ বলে ৩৫ রান করে ইয়ংয়ের বলে আউট হয়ে যান শান্ত। ৭টি চারের মারে এই ইনিংসটি খেলেন তিনি। রনি-শান্তদের পর চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস। দীর্ঘ আট বছর পর এদিন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন লিটন।
৭০ রানের জুটি গড়েন তামিম ও লিটন। স্বাচ্ছন্দ্যেই ব্যাট করছিলেন লিটন। কিন্তু তামিমের ডট খেলার প্রবণতায় হাত খুলতে গিয়ে আত্মঘাতী হয়ে ওঠেন এই ডানহাতি। ম্যাকব্রাইনের বলে আদায়ারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। তার আগে ৩৯ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩৫ রান করেন তিনি।
ব্যাট হাতে এদিন ব্যর্থ হয়েছেন তাওহিদ হৃদয়ও। টাইগারদের এই নতুন সেনসেশন ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ডকরেলের ভেতরের দিকে ঢোকা বল কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ১৬ বল খেলে ১৪৩ রান করেন এই তরুণ।
এরই মাঝে অর্ধশতকের দেখা পান তামিম। ১০ ইনিংস পর এদিন অর্ধশতকের দেখা পেলেন টাইগার অধিনায়ক। ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দিকেও এগুচ্ছিলেন। কিন্তু ডকরেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে ধরা পড়েন ইয়ংয়ের হাতে। ৮২ বলে ৬ চারে ৬৯ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার।
তামিমের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ এক জুটি গড়েন দুজনে। এই জুটিতে যোগ হয় ৭৫ রান। কিন্তু বাকিদের মতো সেট হয়ে আউট হয়েছেন মুশফিকও। ম্যাকব্রাইনের বলে এলবিডব্লু হয়ে যাওয়ায় অল্পের জন্য পাননি অর্ধশতকের দেখা। ৫৪ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৪৫ রান করেন তিনি। আর ৪ রান যোগ হতেই আউট হয়ে যান মিরাজও। ৩৯ বলে ৩ চারে ৩৭ রান করে আদায়ারের শিকারে পরিণত হন মিরাজ।
এরপর বাংলাদেশের ইনিংস আর বেশিদূর এগোয়নি। মাত্র ৯ রান যোগ করতে বাকি চার উইকেট হারায় টাইগাররা। ১১ বলে ৮ রান করে শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন অভিষিক্ত মৃত্যুঞ্জয়।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে আদায়ার সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন ম্যাকব্রাইন ও ডকরেল। একটি উইকেট নেন ক্রেইগ ইয়ং।
খুলনা গেজেট/এমএম