আসামির সঙ্গে আইনজীবীকে সাক্ষাতের অনুমতি না দেওয়া যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন একজন আইনজীবী। রোববার এ অভিযোগ দেন আইনজীবী শেখ তাজ হোসেন তাজু। তবে, এ বিষয়ে কারাগার কর্তৃপক্ষ বলেছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেছেন, নিয়ম অনুযায়ী আসামীর সাথে ১৫ দিনের মধ্যে সাক্ষাৎ করা যাবে না।
অভিযোগে বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় কারাগারে আটক আসামি সৌরভ কুমার দাসের তিনি আইনজীবী। ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সৌরভ যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন। গত ১৯ এপ্রিল দুপুর ৩টা ২ মিনিটে তিনি জেলরের অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করে সাক্ষাৎ করতে চান বলে জানান। এসময় জেলর অ্যাডভোকেট তাজুকে লিখিত একটি আবেদন করার জন্য বলেন। এসময় অ্যাডভোকেট তাজু গেটে গিয়ে পরিচয় দিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কারারক্ষীর মাধ্যমে আবেদন করেন। এর কিছু সময় পর কারা অভ্যান্তরে অবস্থানরত কারারক্ষীরা জানান, সাক্ষাতের কোনো “ডিউ” নেই, তাই সাক্ষাত সম্ভব না। পরবর্তীতে পুনরায় ফোন করলে জেলর একই কথা বলেন।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট তাজ হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেন, এভাবে সাক্ষাতের অধিকার বাতিল করা বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৩(১) অনুচ্ছেদ ও যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিটিজেন চার্টারের পরিপন্থী। এ ঘটনায় তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একইসঙ্গে বিষয়টি কারা মহাপরিদর্শক, কারা উপ-মহাপরিদর্শক (খুলনা বিভাগ) এবং সিনিয়র জেল সুপার, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার বরাবর অনুলিপি প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলর শরিফুল ইসলাম বলেন, জেলকোড অনুযায়ী একজন আসামি স্বজনদের সাথে দেখা করার ১৫ দিনের মধ্যে কারও সাথে দেখা করতে পারবেন না। সম্প্রতি ওই আসামি তার স্বজনের সাথে সাক্ষাত করেছেন। ১৫ দিন পার না হওয়ায় তার ডিউ ছিলো না। এজন্য তাকে দেখার সুযোগ দেয়া হয়নি। তাদের সিস্টেমের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।