বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ এলাকায় ৩৫ বছর বয়সী এক ছিন্নমূল তরুণীকে আশ্র্রয় দেওয়ার কথা বলে ঘেরের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে তিন যুবক। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ষাটগম্বুজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. রবিউল ইসলাম(৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আটক মো. রবিউল ইসলাম বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোণা গ্রামের শেখ আকবর আলীর ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বলেন, বাবা মারা গেছে, মায়ের সাথেও দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম, এখন চাকুরী নেই। আশ্রয়ের আশায় দেড় মাস আগে খান জাহান আলী (রহ) এর মাজারে এসেছিলাম। কখনও মাজারের পাশে, কখনও মাজার মসজিদের বারান্দায় থেকেছি। রবিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজার এলাকায় ছিলাম, কিন্তু কিছু লোক আমাকে তাড়িয়ে দেয়। আশ্রয়ের আশায় ষাটগম্বুজ মসজিদের সামনে যাই। সেখানে কিছু লোক আমাকে জলিল নামের একজনের বাসায় পাঠায়। সেখানে আকবর নামের একব্যক্তি কু প্রস্তাব দিলে বিরক্ত হয়ে রাস্তায় চলে আসি। তখন রবিউল নামের এক অটো চালক আমাকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে অটোতে উঠিয়ে নির্জন একটি ঘেরের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন মিলে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে নানা আকুতি মিনুতির পরে তারা আমাকে খুলনা বাগেরহাট মহাসড়কের একটি নির্জন জায়গায় ছেড়ে দিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাদিয়া তাসনিম মুনমুন বলেন, পুলিশ ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাঁর অভিযোগ, তাকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেছেন। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করেছি। তরুণীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, নির্যাতনের শিকার তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
খুলনা গেজেট/ এএজে