খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ৫ মার্চ, ২০২৫

Breaking News

  গুলশান থানার মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত
  অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের নতুন সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন অধ্যাপক সি আর আবরার

আশ্রয়ণের ঘর দেয়ার কথা বলে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নোয়াখালীর সেনবাগে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার কথা বলে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে (৪২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত গোলাপ হোসেন (৪৫) উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের গোয়াল বাড়ির মৃত কালু মিয়ার ছেলে এবং একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) ছিলেন।

গত বুধবার (২ নভেম্বর) ভুক্তভোগী নারী এ ঘটনার বিচার চেয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে ভিকটিমের সাথে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। নিঃসন্তান এ নারী উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের মালেক মঞ্জিলে টিউশনি করেন এবং পার্শ্ববর্তী ওয়াব মিয়ার বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় বাসা ভাড়া থাকেন। একই বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় বাসা ভাড়া থাকেন ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) গোলাপ হোসেন। কিছু দিন আগে ভিকটিম গোলাপ মেম্বারের ভাড়া বাসায় যায় এবং তার কাছে জানতে চান সরকারের থেকে কোনো ঘর বরাদ্ধ আছে কিনা। তখন সাবেক মেম্বার জানান পরিষদে ১২ টি ঘর বরাদ্ধ আছে। ভিকটিমকে একটি ঘর দিবে বলে তার কাছ থেকে ফোন নাম্বার নেন। ফোন নম্বর নেওয়ার পর থেকে ওই নারীকে ফোনে অনেক বিরক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে ফোন দিয়ে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বলে। একদিন ভিকটিমকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশের ছবি নেয় এবং জোরপূর্বক একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, বিষয়টি ভিকটিম তার পরিবারকে জানাতে চাইলে মেম্বার তাকে মারধর করে হাতের ফোনটি নিয়ে যায়। আইনের সরাপন্ন হলে ভিকটিম ও তার পরিবারকে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দেয়। একই বাসার আরেকব মহিলার সাথে মেম্বারের অবৈধ সম্পর্ক আছে। তারা দুজন মিলে তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। পরে নিরুপায় হয়ে নির্যাতিত নারী এসপি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এসপি নারীকে পুনরায় সেনবাগ থানায় পাঠালেও পুলিশ অদৃশ্য কারণে মামলা নেয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত মেম্বার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। দীর্ঘ ৯দিনেও পুলিশ কোন মামলা না নেওয়ার অসহায় হয়ে পড়ে নির্যাতিত নারী। অপরদিকে, সাবেক ইউপি সদস্য গোলাপ হোসেন বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য ওই নারীকে নানান ভাবে চাপ প্রয়োগ করে, অবরুদ্ধ করে রাখে লিখিত অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য গোলাপ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগকারী নারীও আমি একই বিল্ডিংয়ে বসবাস করি। একই বিল্ডিংয়ের আরেক নারীর সাথে তার ঝগড়া হয়। পরে বিষয়টি আমি সমাধা করার চেষ্টা করেছি। একপর্যায়ে ওই নারীর সাথে আমার কথা কাটাকাটি হলে তাকে আমি একটি থাপ্পড় দেয়। এ থাপ্পড়ের জেরে তিনি রাগে ক্ষোভে এসব অভিযোগ করেন। আমি ওই নারীর পা ধরে ক্ষমা চেয়েছি। এখন আর আমাদের কোন সমস্যা নেই। আমরা এখন একই বিল্ডিংয়ে বসবাস করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!