জাহানারা আলমের হাত ধরেই টানা ছয়বারের শিরোপাজয়ী ভারতকে হারিয়ে প্রথম এশিয়া কাপ জিতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ২০১৮ সালের ১০ জুন কুয়ালালামপুরে জয়ের জন্য শেষ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২ রান। নন স্ট্রাইকে থাকা অধিনায়ক সালমা খাতুনকে আগেই দুই রানের জন্য দৌড়ানোর কথা বলে রেখেছিলেন জাহানারা। যেই কথা সেই কাজ, ভারতীয় অধিনায়ক হরমনপ্রীত কাউরের করা বলটিকে মিডউইকেটে ঠেলে দিয়েই রানের জন্য দৌড়। সেই দৌড়েই শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরে বাংলাদেশ নারী দল।
এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার সুবাদে ভারতের নারী আইপিএলের প্রথম আসরে খেলার সুযোগ পান জাহানারা। জাতীয় দলের তারকা এ অলরাউন্ডারের এখন একটাই স্বপ্ন অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশে খেলা। স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে। একদিন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল বিশ্ব কাঁতারে থাকবে বলে বিশ্বাস তার।
সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় একটি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাহানারা আলম বলেছেন, আইপিএলের প্রথম আসরে অংশ নিয়েছিল মাত্র তিনটি দল। আমি চেয়েছিলাম প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করার পাশাপাশি নিজেকে তুলে ধরতে। আইপিএলের পর আমার খেলায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে থেকেই আমি বিগ ব্যাশে খেলার স্বপ্ন দেখতাম, আশা করছি এক দিন খেলতে পারব।
এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারানোর পরে উপহার হিসেবে একটি স্কুটি পেয়েছিলেন জাহানারা। জ্যামের নগরী ঢাকায় বসবাস করায় চলাফেরার সুবিধার জন্য স্কুটি তার খুব প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ঘটনায় পড়ে গেলে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ে যাবে সেই চিন্তাই স্কুটিটি বাসায় রেখে দিয়েছেন তিনি।
জাহানারা বলেন, আমি নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে একটু বেশি সচেতন। তাই চাইনি স্কুটি চালাতে গিয়ে চোটের কবলে পড়ি। আমার সেই স্কুটিটি বাসায় পড়ে আছে। একবার স্কুটি চালানো শিখতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলাম। সেই ঘটনার কথা মনে করেই রিক্স নিতে চাচ্ছি না। তবে মোটরসাইকেল ড্রাইভ করা আমার খুবই পছন্দের।
১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল খুলনায় জন্ম হয় জাহানারা আলমের। ২০১১ সালের নভেম্বরে সাভারে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আইসিসি ওমেন্স বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে অভিষেক হয় এ অলরাউন্ডারের। গত নয় বছরে জাতীয় দলের হয়ে ৩৭টি ওয়ানডে আর ৭১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ২৭ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার। জাতীয় দলের হয়ে ১০৮ ম্যাচে ৮৮ উইকেট শিকারের পাশাপশি ব্যাট হাতে ৩১৯ রান সংগ্রহ করেছেন জাহানারা।
খুলনা গেজেট/এএমআর