সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের চাপড়ায় মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রীজের লোহার পাটাতন ভেঙে গেছে। ফলে শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে ওই ব্রীজের উপর দিয়ে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যেকারণে জেলা শহরের সাথে আশাশুনি উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।
দীর্ঘদিনের পুরাতন এই বেইলি ব্রীজ দিয়ে অনেকটা ঝুকি নিয়েই যান চলাচল করে আসছিল। মাঝে মধ্যে মালামাল বোঝাই ভারী যানবাহন ব্রীজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় পাটাতন ভেঙ্গে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ জোড়াতালি দিয়ে ব্রীজটি ঠিকঠাক করলেও ভারি যান চলাচল বন্ধ না হওয়ায় বর্তমানে ব্রীজটি ভেঙে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। শনিবার ভোরের কোন এক সময় ব্রীজের মাঝ বরাবর পাশাপাশি ৩টি পাটাতনের ২টি ভেঙে পড়ায় বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও ইঞ্জিনভ্যান গুলো ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে দেখা গেছে। এদিকে, যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য ভারী যান চালকরা শোভনালী ব্রীজ ও তেঁতুলিয়া ব্রীজ পার হয়ে অনেকটা ঘুরে সাতক্ষীরা শহরে যাতয়াত করতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানাগেছে।
চাপড়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক আলহাজ্ব মাওঃ মনিরুজ্জামান জানান, গত বছর একই স্থানে ব্রীজের পাটাতন ভেঙ্গে ইট বোঝাই একটি ট্রাক মরিচ্চাপ নদীর চরে পড়ে গিয়েছিল। এছাড়া অসংখ্যবার এই ব্রীজ ভেঙ্গে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবীব জানান, ভেঙে যাওয়ার পর অবশিষ্ট একটি পাটাতনের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দুই ও তিন চাকার গাড়িসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করছে। এতে যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমান জানান, বিষয়টি জানার পর বেইলী ব্রীজটি পরিদর্শন করেছি। ব্রিজের ভেঙে পড়ার স্থানে লাল পতাকা দিয়ে জনসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বন করে চলাচলের কথা বলা হয়েছে। ব্রীজটির ভাঙা অংশ মেরামত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। তিনি আরো জানান, রাতের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যায়।
খুলনা গেজেট / আ হ আ
