খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত
  কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে নতুন বাংলাদেশ গড়তে আর্থিক ও বিনিয়োগের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

আশাশুনির ভাঙন পয়েন্ট দিয়ে এখনও ঢুকছে পানি, শেষ হয়নি রিংবাঁধ নির্মাণ কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বিছট গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবে) বেড়িবাঁধের ভাঙন পয়েন্ট দিয়ে এখনো জোয়ারের পানি ঢোকা অব্যহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরের জোয়ারের আগ পর্যন্ত ভাঙন পয়েন্টে জিটিউব দিয়ে বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। ফলে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে করে দুর্ভোগ অরো বাড়ছে প্লাবিত ৬ গ্রামের মানুষের।

বিছট গ্রামের বেড়িবাঁধ ভাঙনের ৪৮ ঘন্টা পর বুধবার (২এপ্রিল) সকালে ভাঙন পয়েন্টে আধুনিক জিও টিউব দিয়ে একটি বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে এই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে।

এদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. ফিরোজ সরকার, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎকুমারসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার আশাশুনির বিছট গ্রামের বেড়িবাঁধ ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পানি প্রবাহে বন্ধে প্রাথমিক পর্যায়ে ভাঙন পয়েন্টে জিও টিউব দিয়ে ৩৫০ মিটার বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরের জোয়ারের আগে তিন লেয়ারের কাজের প্রথম লেয়ারের ২৪০ মিটার কাজ করা হয়েছে। জোয়ারের কারণে আপতত কাজ বন্ধ আছে। নদীতে ভাটা শুরু হলে আবার কাজ শুরু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আধুনিক পদ্ধতির জিওটিউব দিয়ে বাঁধের কাজ চলছে। এটি সফল হলে আগামী শুক্রবার-শনিবারের মধ্যে পানি আটকানো সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। এখানে পানির উচ্চতা বেশী হওয়ায় প্রথম লেয়ারের কাজ শেষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় লেয়ারের কাজ করতে হবে। পরে বাঁধের স্থায়ীত্বের জন্য তার উপরে মাটির কাজ করতে হবে।

এদিকে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আনুলিয়া ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম আংশিক ও একটি গ্রাম সম্পূর্ণ খোলপেটুয়া নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ওইসব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্লাবিত এলাকায় শতাধিক অধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবারের অনেকেই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। নদীর লোনা পানিতে ডুবে গ্রামের নিম্মাঞ্চলে লাগানো বোরো ধানে পঁচন ধরেছে।

অপরদিকে আনুলিয়া ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকায় নৌবাহিনী, বিভাগীয় কমিশনার, কোষ্ট গার্ড ও জামায়াতের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জরুরি ত্রাণ বিতরণ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল পৌনে ৯ টার দিকে পাউবো বিভাগ-২ এর আওতাধীন ৭/২ পোল্ডারের বিছট গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের বাসার পাশ থেকে প্রায় দেড়’শ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ে আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট, বল্লবপুর, আনুলিয়া, নয়াখালী চেঁচুয়া ও কাকবসিয়া গ্রাম। এর মধ্যে নয়াখালী গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বাকি গুলোর নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!