সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় জনতা এক শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শুক্রবার বেলা ১০ টার দিকে আশাশুনি উপজেলা সদরের কোদন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক স্কুল শিক্ষকের নাম মইনুর ইসলাম (৪০)। তিনি আশাশুনি উপজেলার কোদন্ডা গ্রামের মৃত বাবর আলী কারিকরের ছেলে। মইনুর ইসলাম কোদন্ডা কেবিএ, দক্ষিণ চাপড়া সাকসেচ ও আশাশুনি পূর্ব পাড়ায় অবস্থিত আশাশুনি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালক।
যৌন নির্যাতনের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা জানান, বাঁশ কাটার কাজে তারা স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে শুক্রবার বেলা ১০ টার দিকে আশাশুনি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালক মইনুর ইসলাম তাদের বাড়িতে আসেন। এ সময় বাড়িতে একা থাকা ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে (১১) শিক্ষকের সাথে কুশল বিনিময় করে বারান্দায় চেয়ারে বসতে দেয় ও ঘরে থাকা বিস্কুট এবং পানি দেয়। এক পর্যায় মইনুর কথা আছে বলে আমার মেয়েকে ঘরের ভিতরে ডেকে নেয়। সরল বিশ্বাসে স্যারের ডাকে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে মইনুর তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে মইনুর তাকে ছেড়ে দিয়ে কৌশলে বাড়ির বাইরে চলে যায়। মেয়ের কান্নার শব্দে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন এসে তাকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে।
এসময় গ্রামবাসীরা শিক্ষক মইনুরকে আটক করে থানায় পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম কবির সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং জনতার হাতে আটক শিক্ষক মইনুর ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে।
আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে স্কুল ছাত্রী শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক শিক্ষক মইনুর ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিকে বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’
খুলনা গেজেট/এনএম