আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে টানা ফিফটির রেকর্ড গড়ে ‘লিটল ব্র্যাডম্যান’ উপাধি পেয়েছিলেন মুমিনুল হক। তবে বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি ব্যাটার বর্তমানে সেভাবে ধারাবাহিক নন। মাঝে বাদও পড়েছিলেন একবার, এরপর দলে ফিরেছেন ঠিকই, তবে আগের মতো রানপ্রসবা উপহার দিতে পারছেন না। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বিব্রতকর একটি রেকর্ড গড়েছেন মুমিনুল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে নেমে তারা ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে। দ্বিতীয় উইকেটটি মুমিনুলের, ৬ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই কেমার রোচের বলে বিদায় নিয়েছেন। ফুল লেংথে ফেলা বলটি মুমিনুলের ডিফেন্ড করতে চাওয়া ব্যাট ছুঁয়ে আটকে যায় ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।
শূন্য রানে আউট হয়েই লজ্জার রেকর্ডটি গড়লেন মুমিনুল। তিনি এখন টেস্টে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে ডাক নিয়ে আউট হওয়া ক্রিকেটার। এতদিন রেকর্ডটি ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের। ৬১টি টেস্টে সাবেক এই বাংলাদেশ অধিনায়ক ১৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। ৬৯তম টেস্টে গতকাল খেলতে নেমে মুমিনুল তাকে ছাড়িয়ে ১৭ বার আউট হলেন শূন্য রানে।
তালিকায় পরের দুটি নাম অবশ্য স্বীকৃত ব্যাটারের নয়, ১৩ বার টেস্টে শূন্যতে আউট হন পেসার খালেদ আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। সমান সংখ্যকবার ডাক মেরেছেন মুশফিকুর রহিমও।
কালকের ইনিংসে মুমিনুলের আউটে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে দিন শেষে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছেন সাদমান ইসলামের ফিফটিতে। এতে অবশ্য কৃতিত্ব আছে স্বাগতিক উইন্ডিজদের। তারা তিনটি ক্যাচ ছেড়েছে ৩০ ওভারের প্রথমদিনে, এর মধ্যে দুটি সাদমানের, আরেকটি অপর অপরাজিত ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দীপুর (১২)। প্রথম দিন শেষে ২ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৯ রান।
এদিকে, চলমান এই টেস্টটি উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাফেটের মাইলফলক ম্যাচ। তিনি ক্যারিবীয়দের হয়ে সর্বোচ্চ টানা ৮৬টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন। এতদিন রেকর্ডটি ছিল সাবেক কিংবদন্তি অলরাউন্ডার স্যার গ্যারি সোবার্সের দখলে। ২০১৪ সালের ১৬ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলা একটি টেস্টও মিস করেননি ব্রাফেট।