বাংলাদেশ বিষয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে জাতিসংঘ যদি তদন্ত করতে চায়, তাতে বাংলাদেশের কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনোদিন কোনো ব্যক্তিগত বডিগার্ড ছিল না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করায় আল জাজিরার গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আল জাজিরা বন্ধ করার দরকার নেই, মানুষ বুঝেছে তারা বানোয়াট তথ্য প্রচার করেছে।
রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে আজ শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিনি। উনার ৪৫ বছরের রাজনীতির জীবনে এখন এসএসএফ গার্ড দেয়। কোনোদিন কোনো বডিগার্ড ছিল না। কিন্তু ওই খানে (আল জাজিরার প্রতিবেদনে) একজনের ছবি দিয়ে বলেছে, এটা উনার বডিগার্ড। এ রকমের মিথ্যা তথ্য মেনে যায় না।’
ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরো বলেন, ‘এমন মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আল জাজিরা তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেখানে ৩০ লাখ মানুষ মারা গেছে। সেখানে তারা বলে তিন লাখ মারা গেছে। তারা অনেক সময় উল্টাপাল্টা তথ্য দেয়। প্রতিবেদন যদি সত্য হয় সেটা আমরা তদন্ত করব। যদি মিথ্যা হয় তাহলে বাদ দেব।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘একসঙ্গে ছবি থাকলেই কেউ দেহরক্ষী হয় না। আগেও তারা ভুল তথ্য প্রচার করেছে। সরকার আরো যাচাই করবে আল জাজিরার বিষয়ে।’
এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন অপরাধ নানা মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়। জেনে যায় সারা বিশ্ব, ক্ষুণ্ণ হয় দেশের ভাবমূর্তি। উন্নত দেশগুলোতে কোনো অংশেই অপরাধ কম হয় না। ওইসব দেশের ভেতরে ও বাইরে সেসব খবর ছড়ায় না।
খুলনা গেজেট/ টি আই