বিজেপি সরকারের সঙ্গে কৃষকদের আলোচনা কোনোভাবেই ফলপ্রসু হল না। বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে কৃষক-ক্ষেতমজুর আন্দোলন আরো তীব্র আকার নিয়েছে। তারা এবার আদানি-আম্বানিদের দ্রব্যসামগ্রী বয়কটের পাশাপাশি পতঞ্জলির দ্রব্য সামগ্রী বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
সারা ভারত কৃষক সংগ্রাম মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অভীক সাহা বলেন, কৃষক সংগঠনগুলির নেতৃত্বকে নিয়ে আলোচনার নামে একটা তামাশা তৈরি করার চেষ্টা করে ভারত সরকার। আমরা বলে দিয়েছি এই জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। এই আইন দেশি-বিদেশি কর্পোরেট লবির হাতকে শক্তিশালী করবে। ভারতের নব্বই শতাংশ মানুষ ভাতে মরবেন।
অভীক সাহা বলেন, কৃষি আইনের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে হরিয়ানার পঞ্চায়েত ও নগর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (স্হানীয় সরকার প্রশাসন)। বিজেপি এই রাজ্যে ধরাশায়ী হয়ে গেছে। এটা বোঝা দরকার। এক কৃষি আইন বিজেপি সরকারকে খতম করবে। প্রতিটি রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপি হারবে।
তিনি বলেন, এ যাবত পর্যন্ত কৃষক-ক্ষেতমজুর আন্দোলন করতে গিয়ে চল্লিশজনের মৃত্যু হয়েছে। আরো রক্ত দিতে প্রস্তুত আমরা। কিন্তু এই জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল না করলে এটি একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হবে। পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার আন্দোলন মুখী হয়েছে। বিহারের পাটনায় সেখানকার বিজেপির জোট সরকারের পুলিস ব্যাপক লাঠি চার্জ করেছে। কিন্তু আন্দোলন থেকে পিছু হটেনি মানুষ।
এদিকে কৃষক-ক্ষেতমজুরদের এই আন্দোলন ৩৬ দিনে পড়ল। সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক ও মোর্চার অন্যতম আহ্বায়ক প্রাক্তন সাংসদ হান্নান মোল্লা বলেন, কৃষকরা পিকনিক করতে আসেননি। তারা দাবি আদায় করতে এসেছেন।তাই এই আন্দোলন লাগাতার চলবে।
খুলনা গেজেট/এনএম