আলেমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি, স্বৈরাচার হাসিনার শাসনামলে আলেমদের ওপর যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল এবং যারা প্রতিবাদী আলেমদের মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করেছে, তাদের প্রত্যেককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার হত্যাকাণ্ড এবং জুলুম-নির্যাতনকে যেসব বুদ্ধিজীবী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সমর্থন জুগিয়েছিল, তাদেরও প্রমাণ সাপেক্ষে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তারা আরও বলেন, আমরা ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের গণজমায়েতের ওপর নৃশংস গণহত্যা, ২০২১ সালে মোদি (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) বিরোধী বিক্ষোভে পুলিশি হত্যাযজ্ঞ এবং এ বছরের জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। শিগগিরই আমরা চিহ্নিত খুনি ও খুনের নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।
হেফাজত নেতারা বলেন, এতটা বছর আমাদের ওপর খুনি হাসিনার সরকার ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় নির্যাতন ও দমন-পীড়ন জারি রেখেছিল। আলেমদের মধ্যে ষড়যন্ত্রমূলক বিভক্তি তৈরি করে, বলপূর্বক মাদ্রাসা বন্ধের হুমকি দিয়ে এবং নানাভাবে আলেমদের সম্মানহানি করে তাদের দমিয়ে রাখার সব রকম চেষ্টাই তারা করেছিল। কিন্তু খুনি ফ্যাসিস্ট জালিমদের শেষ রক্ষা হয়নি। নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাদের পতন ঘটল। আমরা আল্লাহপাকের শোকর আদায় করছি, তিনি আমাদের নতুন স্বাধীনতা দান করেছেন এবং খুনিদের বিচারের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা সব শহীদকে স্মরণপূর্বক তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
খুলনা গেজেট/এইচ