শেখ হাসিনার সততা এবং দেশপ্রেমের কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সততা এবং সাহসীই হচ্ছে শেখ হাসিনার ম্যাজিক। দেশের রাজনীতি থেকে অপকর্মকারী ও দুর্নীতিবাজদের না বলতে হবে। ভালো মানুষকে দেশের রাজনীতিতে আসতে হবে। ভালো মানুষ রাজনীতিতে না এলে দেশের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই মেধাবী, সৎ ও চরিত্রবান সুনাগরিকদের রাজনীতিতে আসতে হবে।
তিনি বলেন, টেমস নদীর পাড় থেকে আসা বার্তায় দেশে আন্দোলনের হাঁকডাক দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ হাঁকডাক আমরা অনেক শুনেছি। বিএনপির ভাঙাহাট আর জমবে না।
তিনি আরও বলেন, ঘুম থেকে উঠলেই পত্রিকা এবং টেলিভিশনে কিছু খবর দেখি। ১৩ বছর ধরে বিএনপির আন্দোলনের হুমকি-ধমকিতেই সীমাবদ্ধ। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। ১২ বছরে যারা কিছুই করতে পারেনি আগামী দিনেও তারা কিছুই করতে পারবে না। টেমস নদীর পাড় থেকে আসা বার্তায় মির্জা ফখরুল কিছুদিন নড়েচড়ে বসেন এরপরে আবার হারিয়ে যান। বক্তৃতা বিবৃতি মধ্যেই সীমাবদ্ধ বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি। আওয়ামী লীগ জানে আন্দোলন কি ও কত প্রকার সুতরাং আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার সততা এবং দেশপ্রেমের কারণে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে। শেখ হাসিনার জন্যই দেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্র আজ শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অসাধু মানুষের পদচারণা বেড়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, চরিত্রহীন অসৎ রাজনীতিবিদরা ইতোমধ্যে দেশের রাজনীতির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। সৎ, সাহসী এবং চরিত্রবান মানুষকে রাজনীতিতে আসতে হবে। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের রাজনীতিতে না এলে দেশের রাজনীতির ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
খুলনা গেজেট/এএ