আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় বরাদ্দ এক রকম বন্ধই হয়ে গেল। বিজেপি সরকারের মানব সম্পদ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাস কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কোন রকম সহযোগিতা করছে না। এই সংকীর্ণ অজুহাতকে খাড়া করে বিজেপির সরকার মুসলিম ইতিহাস, ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলির মৃত্যু ঘণ্টা বাজাতে চাইছে। রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, তাদের দাবি মুসলিম সমাজের শিক্ষা বিস্তারের পথটাকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে চাইছে এই বিজেপি সরকার । উল্লেখ্য, এর আগে প্রাক মাধ্যমিক মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বা বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের মুসলিমদের রাজনৈতিক, অথনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত মেরুদন্ডকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে দিতে চাইছে। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসের আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া তারই একটা ধাপ। দেশের মধ্যে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসই দ্বিতীয় শাখা যার বরাদ্দ বন্ধ করলো কেন্দ্র সরকার। ২০০৬ সালের সাচার কমিটির রিপোর্টে মুসলিম সমাজের করুনচিত্র সামনে আসার পর ২০০৮ সালে এই সংখ্যালঘু সমাজের শিক্ষা বিস্তারের জন্য মুর্শিদাবাদের আহিরণে তৎকালীন ইউপিএ সরকার এবং রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় এই ক্যাম্পাস স্থাপিত হয়েছিল। এই ঘটনায় এস ডি পি আই এর তরফ থেকে তীব্র নিন্দা জানালেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি তায়েদুল ইসলাম সাহেব। তিনি বলেন এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দিল দেশের বিজেপি ও আরএসএস কতখানি সংখ্যালঘু বিদ্বেষী। শুধু তাই নয়, সারাদেশে এক ধরনের কর্পোরেট সাম্প্রদায়িকতা চলছে।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস