পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের পক্ষে আর কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ কিংবা আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। মিয়ানমার সীমান্তে এর আগে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, আশা করব তেমন পরিস্থিতির উদ্ভব আর হবে না। আমরা প্রায় ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। প্রতিবছর ৩৫ হাজার নতুন রোহিঙ্গা শিশু জন্মগ্রহণ করে। অর্থাৎ, প্রতিবছর এই সংখ্যা বাড়ছে।’ শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবির শিরীষতলায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যাদের এর আগে মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, তাদের কীভাবে ফেরত পাঠানো যায়, আমরা সেই নিয়েই কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সহায়তা কামনা করেছি, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে মিয়ানমার সরকারের ওপর যাতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন করতে হলে বিএনপিকে আগামী ’২৯ সালের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তখন জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই সরকার গঠন করবে। বিএনপি সব পরীক্ষায় ফেল করেছে। এখন তারা আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুক, আরও বেশি করে পড়াশোনা করুক, তারপর আমরা দেখব তারা কী করে। অবশ্যই নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করার ক্ষেত্রে সরকার কাউকে বাধা দেবে না। বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও নৈরাজ্য করেছে। এসব আর করতে দেওয়া হবে না।’
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ‘একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার’ পেয়েছেন ১৬ জন। শিরীষতলায় অমর একুশে বইমেলায় তাদের হাতে পদক ও পুরস্কার তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন– মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী (মরণোত্তর), শিল্প উন্নয়ন ও সমাজসেবায় মো. নাছির উদ্দিন (মরণোত্তর), চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. গোফরানুল হক, নাট্যকলায় শিশির দত্ত, সংস্কৃতিতে শ্রেয়সী রায়, শিক্ষায় অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচার্য, সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশ ও মানোন্নয়নে সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ, সাংবাদিকতায় জসীম চৌধুরী সবুজ, ক্রীড়ায় জাকির হোসেন লুলু, স্বল্পদের্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ ও গবেষণায় শৈবাল চৌধুরী, লোকসাহিত্য ও গবেষণায় শামসুল আরেফীন, প্রবন্ধে শামসুদ্দিন শিশির, কবিতায় আবসার হাবীব ও ভাগ্যধন বড়ুয়া, শিশুসাহিত্যে ছড়াকার অরুণ শীল ও শিবু কান্তি দাশ।
চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অমর একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। স্বাগত বক্তব্য দেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/কেডি