আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম দেশিয় চলচ্চিত্রের রঙ্গিন দুনিয়া ছেড়ে রাজনীতির মাঠে নিজেকে পরিচিত করেছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। বগুড়ার কাহালু-নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন জাতীয় পার্টি থেকে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন হিরো আলম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতীক নেন ‘একতারা’। সেই থেকেই ভোটের মাঠে হিরো আলম। বিএনপি সাংসদদের পদত্যাগে আবার ভোট হয় বগুড়ায় ৪ ও ৬ আসন ফাঁকা হলে চলতি বছর এ দুটি আসন থেকেই ভোট করেন হিরো আলম। তখনও তার মার্কা ছিল একতারা। সেই ভোটে কাহালু-নন্দীগ্রাম থেকে খুব সামান্য ভোটে পরাজিত হন হিরো আলম।
সবচেয়ে আলোচনার জন্ম দেয়া ঢাকা ১৭ আসনের ভোট৷ নানা নাটকীয়তার প্রার্থীতা ফিরে পান হিরো আলম। এই উপনির্বাচনেও তিনি নেন একতারা প্রতীক৷ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগের এ আরাফাতের বিরুদ্ধে। তখন তিনি বলেছিলেন তিনি যতদিন যেখানেই ভোট করবেন, একতারা মার্কায় ভোট করবেন।
পরাজিত হলেও এই নির্বাচনে হামলার শিকার হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনায় আসেন হিরো আলম।
বৃহস্পতিবার দুটি রাজনৈতিক দলকে চুড়ান্ত নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। নতুন দুই দলের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন- বিএনএমকে দেয়া হয় নোঙর আর সুপ্রিম পার্টিকে দেয়া হয় একতারা প্রতীক।
এখন থেকে একতারা প্রতীক দলীয় হওয়ায় ভবিষ্যতে এই প্রতীকে আর স্বতন্ত্রভাবে ভোট করার সুযোগ নেই। বিষয়টি শুনে বেশ অবাকই হয়েছেন হিরো আলম।
তিনি গণমাধ্যমকে কে বলেন, কি আর করা ভাই। এমপি তো আর জীবনে হতে পারবো না মনে হয়৷ চেষ্টা চালালাম তিনবার। একতারাটাও চলে গেলো। কি আর করা। ভবিষ্যতে যে দল পাবো সেই দলের বা স্বতন্ত্রভাবে যে মার্কা পাবো সেই মার্কায় ভোট করবো