তোমার স্বপ্নের পথে-প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে
ক্লান্ত হয়ে অবশেষে আমি যখন
তোমার দুঃস্বপ্নের দালানের সিঁড়ি বেয়ে
উঠে যাই তিন তলা পর্যন্ত
তখন তোমার আশার মেঘেরা যেন জানালা দিয়ে ঢুকে
হাত বুলিয়ে যায় আমার মাথাতে!
কিন্তু আমি অচেতন হয়ে রই;
পরোয়াই করি না সেই স্পর্শের!
কী করে করব, বলো?
আজ সময়ের বাম নিলয়ে যে ক্রমেই
এসে জড়ো হচ্ছে পরিবর্তনের নীল রক্তস্রোত;–
যার উৎস তোমার আমার বা এ পৃথিবীর কারোরই নেই জানা!
তবু কীভাবে দারুণ বাসনার তরঙ্গে দুলে ওঠে তোমার জঘন
যখন আমি তোমার ঠোঁটের দিকে না চেয়েই লিখে ফেলি
আমার তিন হাজার ত্রিশতম পঙক্তিটি?
আমি জানি– তুমি এর জবাব খুঁজে পেতে
শীঘ্রই শতাব্দী হতে শতাব্দীতে অভিযান চালাবে
আর তোমার প্রতিদ্বন্দ্বীরাও অপচয় করবে না তাদের সময়!
পরিশেষে তুমিও তাদের মতোই ক্লান্ত আর পরাজিত হয়ে
অভিমানী মৎস্যকন্যার মতো বিস্মৃতির সমুদ্রে ডুব দিতে গেলে
আমি আম্মার রাঁধা বেগুন-ট্যাংরা মাছের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে খেতে বলব–
দাঁড়াও, দাঁড়াও, যেও না বরং
কাছে এসো এখন, হে আর্কিওপটেরিক্স,
চলো দেখি তোমার ওই সুরভিমাখা চুলে
আছে কার ডিএনএ ডাবল হেলিক্স!
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
খুলনা গেজেট/ এএজে