খুলনা, বাংলাদেশ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে : মির্জা আব্বাস
  শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী আজ

আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: মমতাজের ৪ বছরের কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক 

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় কাষ্টম হাউজ খুলনার সাবেক এ্যাপ্রেইজারের স্ত্রী মমতাজ খানকে দু’টি ধারায় ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ওই দু’টি ধারায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার সময়ে মমতাজ খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মমতাজ খান টুটপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও খুলনা কাষ্টম হউজের সাবেক এ্যাপ্রেইজার মো. জিল্লুর রহিম খানের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আাদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ইয়াছিন আলী।

আদালতের সূত্র জানায়, আসামি মমতাজ খান টুটপাড়া দিলখোলা রোডে বাসিন্দা। দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার কথা ঘোষণা দেন। কিন্তু তার স্থাবর সম্পদের পরিমান ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৬১০ টাকা। তিনি ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদের তথ্য ওই বিবরণীতে উল্লেখ না করে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন করেছেন।

মমতাজ খান একজন গৃহিনী। স্বামীর আয়ের ওপর নির্ভরশীল। তার নিজের কোন বৈধ আয়ের উৎস নেই। তিনি নিজ নামে অর্জিত আয়ের ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬১০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৬১০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দখলে রেখেছে। আসামি মো. জিল্লুর রহিম তার স্ত্রী মমতাজ খানকে ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৬১০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করে।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২১ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক এস, এম, শামীম ইকবাল বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় দুর্নীতি দমন আইনের ২০০৪ এর ২৬ (২) এবং ২৭ (১) ধারায় খুলনা কাষ্টম হাউজ এ্যাপ্রেইজার মো. জিল্লুর রহিম খান এবং তার স্ত্রী মমতাজ খানকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফয়সাল কাদের তাদের উভয়ের বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।

আদালতের পিপি এড. সেলিম আল আজাদ বলেন, এটি একটি অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা। মামলায় ওই দু’জন আসামি সিএস ভুক্ত ছিলেন। মামলা চলাকালীন খুলনা কাষ্টম হাউজ এ্যাপ্রেইজার মো. জিল্লুর রহিম খান মারা যান। যার কারণে তিনি এ মামলা থেকে অব্যহতি পান। তৎ সময়ে হতে আসামি মমতাজ খানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলতে থাকে। আসামি মমতাজ খানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত আজ এ রায় দেন। রায়ে বিচারক জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করারও ঘোষণা দেন।

খুলনা গেজেট/সাগর/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!