গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে আম সবচেয়ে জনপ্রিয়। স্বাদ ও গুণের কারণে এই ফলকে ফলের রাজা বলা হয়। অনেকে শুধু আম খান। কেউ আবার অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিলিয়ে, কেউ আবার আম দিয়ে নানা পদ রান্না করেন। কারও কারও খাবার খাওয়ার সাথে সাথে আম খাওয়ার অভ্যাস আছে, কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যা আম খাওয়ার পর এড়িয়ে চলা উচিত। এর কারণ হলো আমের পর এ ধরনের খাবার খেলে উপকারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
আমে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজে সমৃদ্ধ। এই ফল ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ-এর একটি চমৎকার উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এসব উপাদান ত্বক সুন্দর করতে ও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে পারে। আম ফাইবার, পটাসিয়াম এবং বিটা-ক্যারোটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও সরবরাহ করে। এসব উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে, হজমশক্তি বাড়াতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এসব ছাড়াও আমে অল্প পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট এবং ভিটামিন কে রয়েছে। সামগ্রিকভাবে, খাদ্যতালিকায় আম যোগ করলে শরীরে পুষ্টির পরিমাণ বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
আম খাওয়ার পর কোন খাবারগুরো এড়িয়ে চলতে হবে তা জানানো হয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে।
দই: অনেকে আম ও দই একসঙ্গে খেতে পছন্দ করলেও এই খাবারের সংমিশ্রণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে পেটের নানা সমস্যা হতে পারে।
করলা: করলা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় সবজি। তবে আম খাওয়ার পর যেন তা খাওয়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আয়ুর্বেদ অনুসারে এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে।
মসলাযুক্ত খাবার: গ্রীষ্মকালে দুপুরের খাবারের পর আম খাওয়া একটি সাধারণ অভ্যাস। কিন্তু, যখন আপনি মসলাদার খাবারের সাথে আম খান, এটি হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে আমের সাথে মসলাদার খাবার খাওয়া উচিত নয়।
ঠান্ডা পানীয় : আম খাওয়ার পরপরই সোডা বা ঠান্ডা পানীয় পান করা ঠিক নয়। দুই খাবারেই চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। এ কারণে খাবার দুটি একসঙ্গে খেলে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়াতে পারে।
পানি: ফল খাওয়ার পর কারও কারও পানি পান করার অভ্যাস আছে। আম খাওয়ার পর পানি পান করলে পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। এতে ডায়রিয়াও হতে পারে। এ কারণে খাবার বা ফল খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর পানি পান করা ভালো।
খুলনা গেজেট/এনএম