খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ পৌষ, ১৪৩১ | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সচিবালয়ে আগুনের তদন্ত চলমান থাকায় মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে, আলামত যেন নষ্ট না হয়, ক্রাইম সীন রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত : প্রেস সচিব
  শেরপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৬
  ১৮১ আরোহী নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বিধ্বস্ত, জীবিত মাত্র ২
সাংবাদ সম্মেলনে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থী

‘আমি আত্মহত্যা করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী থাকবে’

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

আমি আত্মহত্যা করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী থাকবে। আমি মারা গেলে আমার লাশ বাবা-ময়ের কাছে বাড়ীতে যেন পাঠিয়ে দেয়া হয়। সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন।

আজ মঙ্গলবার(২১ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল চত্ত্বরে মারধর, জীবননাশের হুমকী ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই শিক্ষার্থী। এ সংবাদ সম্মেলেন সাজ্জাদ হোসেনের সহপাঠিরা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় লিখিত বক্তব্যে ওই শিক্ষার্থী বলেন, গত ৬ নভেম্বর রাতে রনি মৃধার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন যুবক শেখ রাসেল হলের ৩০৩ নং রুমে গিয়ে আমাকে মারধর করে। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসলে সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দেয় প্রশাসন। পরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে ১২ নভেম্বর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু ১১ নভেম্বর আবারো হলে গিয়ে রনি ও তার লোকজন তদন্ত কমিটির কাছে সত্য না বলার জন্য আমাকে হুমকী দেয়।

ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, এতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই দিনই আমরণ অনশনে বসি আমি। কিন্তু আবারো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিচারের আশ্বাস দিলে অনশন ভেঙ্গে হলে ফিরে যাই। কিন্তু ৭ কর্মদিবস পেরিয়ে গেলেও এখন সুষ্ঠু বিচার পায়নি। এতে আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ ও ফার্মেসি বিভাগের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই বিভাগের খেলোয়াড়দের মধ্যে তর্ক বিতর্ক এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই রাতে ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রনি মৃধা তার ১০ থেকে ১২ জন সহযোগীদের নিয়ে শেখ রাসেল হলে গিয়ে ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন ও মোঃ জাহিদ হোসেনকে কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে আটকে মারপিট করে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, এখন আমি পক্ষাঘাতসহ মানসিক অবস্থা নিয়ে জীবন যাপন করছি। আমি যদি আত্নহত্যা করি এর দ্বায়ভার সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃর্পক্ষের। বিগত ১১ দিন আমি ঠিকভাবে ঘুমাতে পারছিনা। সব সময় হতাশা ও ভয়ে থাকতে হয়। কারন যারা আমাকে বেধড়ক মারপিট করলো তারা ক্যাম্পাসে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার মনে হয় আমি সঠিক বিচার পাবো না। যে কোন সময় আমাকে মেরে ফেলবে। আমি ন্যায় বিচার পাবো না। আমি যদি কখনো আত্মহত্যা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ আমার লাশ যেন বাবা-মায়ের কাছে বাড়ীতে পৌঁছে দেয়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স(এফএমবি) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিক সম্মেলন করেছে এবং আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে সেটা আমরা জানা নেই।

তিনি আরো বলেন, মো. সাজ্জাদ হোসেনের বিষয় নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সব কিছু যাচাই বাছাই করতে একটু সময় লাগে। দুই-এক দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দিবেন।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!