সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে নেম ঝড় তুলেন আসিফ খান। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে রানের পাহাড় গড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে পথ হারালেও পরে ঠিকই চেনা পথে হেটেছেন নেপালের ব্যাটাররা। ঘরের মাঠে শেষ পর্যন্ত আমিরাতের পাহাড়সম রান টপকে জয় নিশ্চিত করেছে নেপাল।
আলোক স্বল্পতায় পুরো ৫০ ওভার খেলা না হওয়ায় ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৯ রানের জয় পেয়েছে নেপাল। এই জয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের টিকিট কেটেছে এশিয়ার দেশটি। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জায়গা নিশ্চিত করা দলটির ক্রিকেট ইতিহাসে এটি স্বরণীয় জয়।
নেপালের কীর্তিপুরের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩১০ রান তুলে আরব আমিরাত। ৪১ বলে সেঞ্চুরি করে ৪ চার ও ১১ ছক্কায় ১০১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আসিফ খান। ছেলেদের ওয়ানডে ক্রিকেটের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক এখন আমিরাতের এই ব্যাটার।
আসিফ সেঞ্চুরি পেলেও তিন অঙ্কের ফিগার স্পর্শ করতে পারেননি অরভিন্দ। ১৩৮ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন তিনি। ৪৯ বলে ৬৩ রান করেন ওয়াসিম। ২০ রান করেন রোহান মুস্তাফা।
নেপালের হয়ে মাত্র ১৯ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন দিপেন্দ্র সিং আইরে। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন ললিত রাজবংশী, সোমপাল কামি এবং সন্দীপ লামিচানে।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নেপালের। দলীয় শতক পূর্ণ করার আগেই চার উইকেট খুইয়ে ফেলে নেপাল। পঞ্চম উইকেট কিছুটা মজবুত জুটি গড়ে তোলে। নেপালের ইনিংসের হাল ধরেন আরিফ শেখ এবং ভীম। দলীয় ১৮১ রানে ভীম ৬৭ রান করে ফিরলে ক্রিজে আসেন গুলশান ঝা। তার ব্যাটে জয়ের দিকে এগোতে থাকে নেপাল। কিন্তু জয়ের জন্য নেপালের যখন ৩৬ বলে ৪২ রান বাকি ছিল, তখন আলোকস্বল্পতার জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এতে ডিএলএস পদ্ধতিতে ৯ রানের জয় পায় নেপাল।
এদিকে জিম্বাবুয়েতে আগামী ১৮ জুন থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব, যা চলবে ৯ জুলাই পর্যন্ত। বাছাইপর্বে মোট ১০ টি দল থাকবে। সেখান থেকে বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট পাবে দুটি দল।
খুলনা গেজেট/এনএম