ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন করার দায়ে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় কলঙ্ক। টাইগার ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব শুরু থেকে স্বীকার করে গেছেন, এটা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পোস্টারবয় চান, বাকীসব ক্রিকেটার তার এই ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুক। একই পথে আর পা না বাড়াক। গত বছরের অক্টোবরে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট সাকিবের বিরুদ্ধে তিনটি ধারা লঙ্ঘণের অভিযোগ এনে ক্রিকেট থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেন। যার মধ্যে এক বছর স্থগিতাদেশ ছিল। ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব নিজের ক্যারিয়ারের এই কলঙ্কিত অধ্যায় নিয়ে কথা বলেছেন। যেখানে সাকিব জানিয়েছেন, তিনি তার এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চান। একইসঙ্গে তিনি সবাইকে তার এই ভুল সম্পর্কে জানিয়ে সচেতন করার আশ্বাসও দেন।
সাকিব মনে করেন, মিথ্যা বলে শেষ পর্যন্ত পার পাওয়া যায় না। আর তাই জীবনে যাই ঘটুক না কেন, সত্যটাই বলা উচিত। তার ভাষ্যে, ‘আপনাকে অবশ্যই সৎ হতে হবে। আপনি মানুষের কাছে মিথ্যা বলে এবং ভিন্ন আচরণ করে পার পাবেন না। যা ঘটেছে, সেটা ঘটে গেছে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। কেউ শতভাগ সঠিক না। আর তাই আকসুর কাছে আমি শুরু থেকে সৎ থাকার চেষ্টা করে গেছি। যখন আমাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আমি কিছুই লুকানোর চেষ্টা করিনি।’
সাকিব মনে করেন, এমন ভুল জীবনের অনেক বড় শিক্ষা। আর তাই এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। একই ভুল পুনরায় করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় আপনি কিভাবে আপনার ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারছেন। আমি আমার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছি এবং আমি এখান থেকে কেবল সামনে এগুতে চাই। আমি চাই সবাই এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুক এবং আর যেন কেউ এমন ভুল না করে।’
তবে সাকিব মনে করেন, তার মতো বড় ক্রিকেটারের এমন ভুল করা ঠিক হয়নি। তবে যা হওয়ার হয়েছে, এখন সবাই যেন তার এই ভুল থেকে শিক্ষা নেন। তিনি নিজেও সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করবেন বলেও জানান।
সাকিবের ভাষ্যে, ‘আমার মতো একজন ক্রিকেটারের এমন ভুল করা উচিত হয়নি। এটা অন্য কারো সাথেই হতে পারতো, তাহলে আমি শিখতে পারতাম। কিন্তু এটা আমার সাথেই ঘটে গেছে, তাই অন্যরা আমাকে দেখে শিখতে পারে। আমি আমার ভুলগুলো সম্পর্কে বাকীদের জানাবো। তাদের এই পথ সম্পর্কে বলবো। তাহলে তারা আর এই পথে পা বাড়াবে না।’
খুলনা গেজেট/এএমআর